শিক্ষার আলো ডেস্ক
কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে ছয়জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের সব কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেটের সভায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে কখন শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে হবে, সেই সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ হল ছাড়ার নির্দেশনা শিথিল করলো শাবিপ্রবি
অন্যদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, হল খালি করার ঘোষণা তাঁরা মেনে নেবেন না। দেশে কোনো মহাদুর্যোগ চলছে না যে হল বন্ধ করতে হবে।
আজ বুধবার দুপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের দিকে যাওয়ার সময় সারজিস এসব কথা বলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আন্দোলনকে স্তিমিত করার উদ্দেশ্যে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা হল ছাড়বেন না। সরকার দাবি মেনে নিলে তাঁরা আর রাজপথে থাকবেন না। ছাত্রসমাজ যৌক্তিক দাবির জন্য লড়ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের ওপর হামলা করে ক্যাম্পাস ছাড়া করা যাবে না। আমরা ক্যাম্পাসেই থাকবো, প্রয়োজনে ক্যাম্পাস থেকে আমাদের লাশ বের হবে।
Discussion about this post