শিক্ষার আলো ডেস্ক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ থেকে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কোটা সংস্কার আন্দোলন কর্মসূচি ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীরা কয়েকটি দাবি জানিয়ে সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে একটি বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন। সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের উপাচার্যের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভুঁইয়া, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দুই ঘণ্টা বৈঠক হয়।
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত দুই পৃষ্ঠার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমকর্মীদের দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল কর্মসূচী প্রত্যাহারঃ সমন্বয়কবৃন্দ
এতে বলা হয়, আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবি ছিল মেধার ভিত্তিতে যুক্তিসংগত কোটা সংস্কার করা। আমাদের প্রধান দাবিটি পূরণ হওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ থেকে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করলাম। শিক্ষার্থীরা মনে করে কোটা সংস্কার আন্দোলন সর্বসাধারণের আন্দোলন। এটি কোনও রাজনৈতিক স্বার্থান্বেষী মহলের আন্দোলন নয়।
কোটা সংস্কারের বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, কমিশন গঠন করে সব কোটাধারীর মধ্য থেকে প্রতিনিধি নিতে হবে। পরবর্তীতে যদি পরিবর্তন প্রয়োজন হয় তাহলে প্রতিনিধি মতামতের ভিত্তিতে পরিবর্তন বা সংস্কার করতে পারবে। এ ছাড়া আমাদের আরও যে ৯ দফা দাবি আছে, তা মেনে নিয়ে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদি শিক্ষার্থী সমাজ একাত্মতা পোষণ না করে তাহলে সেই দায়ভার আজকে মিটিংয়ের সদস্যরা নেবে না। শিক্ষার্থী সমাজের ৯ দফা অব্যাহত থাকবে এবং পরবর্তীতে আলোচনার সুযোগ থাকবে।
Discussion about this post