শিক্ষার আলো ডেস্ক
কোটাসংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সৃষ্ট ঘটনাপ্রবাহে যেসব শিক্ষার্থীরা এখনো কারাগারে রয়েছেন তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনের আইনি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আটক ১৭ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় আটক আরও ৫ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে একথা জানান। তিনি আরও বলেন, আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই। যখনই খবর পাচ্ছি তখনই সাথে সাথে সহযোগিতার চেষ্টা করছি। মাননীয় উপাচার্য নিজেও বিভিন্ন থানায় এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন। হাসপাতালে গিয়েছেন, আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়া যারা কোর্টে চলে গেছে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ১৭ জনকে ছাড়িয়ে আনার পাশাপাশি আটকে থাকা এবং হয়রানির শিকার হওয়াদের নিরাপদ করার চেষ্টা করছি আমরা।আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় আটক হওয়া মোট ১৭ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছি। সোমবার পর্যন্ত ১৫ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করা হয়েছিল। পরে মঙ্গলবার ডিবি অফিস থেকে দুজনকে মুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশের যেকোনো জায়গায় বিপদে পড়লে প্রশাসন তাদের সে সমস্যা দূর করার চেষ্টা করে থাকে।
আরও পড়ুনঃ কোটা সংশোধন করে নতুন গেজেট প্রকাশ করলো সরকার
যে ১৭ জন শিক্ষার্থীকে থানা থেকে থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে তারা হলেন- দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মুক্তার আহমেদ, রুকু খাতুন; শিল্পকলা বিভাগের ইমরান সাদমান, ইশরাক তৈমুর, ইমরান মিয়া; বাংলা বিভাগের মোসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ; কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের আবিদ হাসান, আরবি বিভাগের আবিদ হাসান রাফি; ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের নাজমুল হাসান শান্ত, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের মাসুম বিল্লাহ, ব্যাংকিং বিভাগের খাইরুল আজিম, ব্যবসায় প্রশাসন ইনিস্টিউটের (আইবিএ) রুবায়েত ফেরদৌস রনিন, ওএসএল বিভাগের রাশেদ খান আবিদ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাদমান আব্দুল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মোস্তাক তাহমিদ, মার্কেটিং বিভাগের আরমান খান এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী এম এ তামিম।
এর আগে, এর আগে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্টকারী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নানা সংবাদ গণমাধ্যমে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী যাতে হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আহ্বান জানাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে তাকে প্রক্টর অফিসকে অবহিত করার নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
প্রশাসনের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নিরপরাধ শিক্ষার্থী হয়রানির শিকার হলে ছাত্রদেরকে সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসান ফারুক (মোবাইল নম্বর: ০১৭৬৮-৮৮৪-৪২৮) এবং ছাত্রীদেরকে সহকারী প্রক্টর ড. ফারজানা আহমেদ (মোবাইল নম্বর: ০১৭১১-৫৭৬-৩৮৯)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
Discussion about this post