আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীনে উইগুরসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চীনের নির্যাতনের জবাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে মার্কিন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বিল পাস হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সিনেটে সর্বসম্মত ভোটে দ্বিপক্ষীয় বিলটি পাস হয়। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়।
করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) মহামারি নিয়ে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে আরও তীব্র বৈরী সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যেই উইগুরদের পক্ষের এই বিল পাস হয়েছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা নতুন এই বিলটির কারণে আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, উচ্চকক্ষ সিনেটে কোনো বাধা না পেয়েই বিলটি পাস হলেও এখনও এটি আইনে পরিণত হয়নি। সিনেট থেকে এখন বিলটি পাঠানো হবে নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে। সেখানে পাস হলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তখন চাইলে তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করে আইনে পরিণত করতে পারবেন। বা ভেটোও দিতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ে চীনের বিরুদ্ধে প্রাথমিক পর্যায়ে তথ্য প্রকাশে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ট্রাম্প একাধিকবার চীনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে, চীনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারেন বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। চীন অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের সব অভিযোগ অস্বীকার করছে। পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপবাদের অভিযোগ এনেছে।
এদিকে, চীন উইগুরদের নির্যাতনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বলেছে, এটা চীনের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এজন্য দেশটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণকে বিদ্বেষপরায়ণ আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
জাতিসংঘ অনুসারে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে শিনজিয়াং অঞ্চলে ১০ লাখের বেশি উইগুরকে বন্দিশিবিরে আটক করা হয়েছে। তবে চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই শিবিরগুলোতে উইঘুরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
নতুন বিলটি উপস্থাপন করেছিলেন রিপাবলিকান সিনেটর মারকো রুবিও। এর আগে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ উইগুর নির্যাতনের জন্য দায়ী জ্যেষ্ঠ চীনা কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে একটি বিল পাস করেছিল।
Discussion about this post