শিক্ষার আলো ডেস্ক
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) ও আজম খান কমার্স কলেজের সমন্বয়করা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের পক্ষে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তানভির আহমেদ। আর আজম খান কমার্স কলেজের পক্ষে ঘোষণা দেন শেখ রাসেল।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা সার্কিট হাউজে বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেন তারা।
এ সময় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আমরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছি। তবে খুলনাতে আমরা কোনো সহিংসতা করিনি। এখন আন্দোলনটা ভিন্ন খাতের দিকে চলে যেতে পারে, তা নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হলো। আমরা জানিয়ে দিচ্ছি আমাদের পরবর্তীতে আর কোনো কর্মসূচি নেই।’
আরও পড়ুনঃ সারাদেশে আটক ১৭ শিক্ষার্থীকে মুক্ত করেছে ঢাবি প্রশাসন
এর আগে সার্কিট হাউজে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম, খুলনা মহানগর যুবলীগের সভাপতি শফিকুর রহমান পলাশ, সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী ও রাজু রায়সহ ১১ শিক্ষার্থী, আজম খান কমার্স কলেজের তিনজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে এক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে তারা এই ঘোষণা দেন। বৈঠকে বেশ ক’জন অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। এই আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িয়ে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। তারা ছাত্রদের ঘাড়ে চেপে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।এ আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন সবগুলো তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। খুলনায় পুলিশ যদি কোন ছাত্রের নামে কোনো মামলা দিয়ে থাকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
Discussion about this post