শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার (৬ আগস্ট)। এরপর থেকেই শিক্ষার্থীরা হলে আসতে শুরু করেন।শুধুমাত্র নিয়মিত বৈধ শিক্ষার্থীরাই এবার হলে উঠতে পারছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিজয় একাত্তর হল, বঙ্গবন্ধু হল, জিয়াউর রহমান হল, জসীমউদদীন হল, রোকেয়া হলসহ সব হলেই ঢাকায় অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের অনেকেই এরইমধ্যে হলে উঠেছেন।
এর আগে কারফিউ উঠার পর মঙ্গলবার থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন বেলা ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শুধু বৈধ শিক্ষার্থীরা উঠতে পারবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাবি মঙ্গলবার থেকে খোলা এবং হলে বৈধ শিক্ষার্থীদের উঠানো ও হলগুলোর সেবা কার্যক্রম চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সিন্ডিকেট সভায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার মধ্যে ১৭ জুলাই ঢাবি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হলে শিক্ষার্থী ওঠানোর বিষয়ে নতুন নির্দেশনা
হলগেটে অবস্থান নিয়ে বৈধ শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করছে কী না সেই বিষয়টি দেখছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা । পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ যাতে হলে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়টিও শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত করছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ও হলের অভ্যন্তরে কোন ধরনের লেজুড়বৃত্তি রাজনীতি চান না। তবে তারা ছাত্র সংসদ চালুর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন। যদি কোন ধরনের রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন হল দখলের চেষ্টা করে সেটিও সমন্বিতভাবে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ ছাড়াও হলের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে হাউস টিউটরদের সঙ্গেও আলাপ আলোচনা করছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশিত নোটিশ অনুসারে
এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীদেরকে হলে ওঠানো হবে। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ, অথবা বিভিন্ন কারণে ছাত্রত্ব নেই, অথবা মাস্টার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করেছে, অথবা স্নাতক পাশ করেছে কিন্তু নিয়মিত ব্যাচের সাথে মাস্টার্সে ভর্তি হয়নি, এমন শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে না।
এই সকল শিক্ষার্থীর জিনিসপত্র যদি হলে থাকে, তাহলে হলের সকল পাওনা পরিশোধ করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষিত নির্ধারিত তারিখের মাঝে নিয়ে যেতে হবে। অন্যথায়, হল কর্তৃপক্ষ তাদের কক্ষ থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলবে এবং হল তার দায় বহন করবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হলের সিট বণ্টনের নীতিমালায়ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নিয়মিত সকল শিক্ষার্থী হলের সিটের জন্য আবেদন করতে পারলেও যাদের যাতায়াতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পরিবহন (ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী ও সাভার) সুবিধা আছে, তারা আবেদন করতে পারবে না।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে এমফিল, পিএইচডি বা সমমানের ডিগ্রি, নিয়মিত মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নতুন করে ভর্তি হওয়া, প্রফেশনাল মাস্টার্স, ইভনিং মার্টার্স, ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য হলে সিট বরাদ্দ দেওয়া হবে না। তবে স্বতন্ত্র নীতিমালার ভিত্তিতে শুধু এমফিল ও পিএইচডি গবেষণারত নারী গবেষকদের ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রীনিবাসে সিট বরাদ্দ করা হবে।
Discussion about this post