শিক্ষার আলো ডেস্ক
সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এমপক্স (মাঙ্কিপক্স) ভাইরাস শনাক্তকরণে সক্ষম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার। ভাইরাসটি শনাক্ত করার জন্য জিনোম সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার পর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) থেকে দেওয়া তিন সেট প্রাইমারও রয়েছে বলে জানা গেছে ।
জিনোম সেন্টারের উদ্বৃতি দিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখা উপ-পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুর রশিদ বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ল্যাবটিতে সাইবার-গ্রিন পদ্ধতি ব্যবহার করে রিয়েলটাইম-পিসিআর মেশিনের মাধ্যমে এমপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণে সক্ষম। এছাড়া ডিএনএ/আরএনএ এক্সট্রাকশনের সব ধরনের সামগ্রী, রি-এজেন্ট কিট ও পর্যাপ্ত পরিমাণে যন্ত্রপাতিও রয়েছে।
আরো পড়ুন-র্যাগিং বন্ধে সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ
জিনোম সেন্টারের পক্ষ থেকে জনানো হয়, অতীতের অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশে ভবিষ্যতে এমপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং নমুনা থেকে সিকোয়েন্সিং করে ভাইরাসের ধরণ শনাক্তকরণেও জিনোম সেন্টারের সক্ষমতা রয়েছে। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে এমপক্স ভাইরাস শনাক্তকরণ ও গবেষণায় ল্যাবটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়লে দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০২০ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করোনা শনাক্তকরণ শুরু করে।
Discussion about this post