শিক্ষার আলো ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হলের গণরুম প্রথা। এই প্রথার দ্বারাই রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াতে বাধ্য করতো।
বছরের পরে বছর সিট সংকট, গণরুম, গেস্টরুম ও র্যাগিংয়ের নামের অরাজকতা চলমান ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রশাসন এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রায় লাগাতারভাবেই ব্যর্থতার নজির সৃষ্টি করেছে।
গতকাল এক বৈঠকে উপাচার্য আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু করার বিষয়ে নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে গণরুম প্রথা বিলুপ্তিরও ঘোষণা দেন উপাচার্য।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
আরও পড়ুনঃ পদত্যাগ করলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড.আলমগীর
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে গণরুম বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া, হলের গেমস রুমকে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ তিন মাস ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সব শিক্ষা কার্যক্রম—থাকছে না গণরুম প্রথাও।
দীর্ঘদিন ধরে গণরুম বা গেস্টরুম কালচারের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা।গণরুম বিলুপ্তি, অছাত্রদের হল ত্যাগ ও মিনি-গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন সুনিশ্চিত করার দাবিতে বেশকয়েকবার অনশনেও যান তারা। অভিযোগ রয়েছে,গণরুম ও গেস্টরুমে শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের শিকার হতো। গণরুম কালচারের কারণে যে শিক্ষার্থী কখনো মাদক ধরে নাই তারাও একসময় মাদকে আসক্ত হয়ে যেতো। গণরুমে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের কারণে একজন নবীন শিক্ষার্থীর মেধা নষ্ট হয়ে যেতো।
Discussion about this post