শিক্ষার আলো ডেস্ক
বর্তমান শিক্ষা মানসম্মতের ধারে কাছেও নেই। বিগত সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি কোটি টাকা অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় হয়েছে। উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণের ১৮ দিনে কমপক্ষে ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছি।
শুক্রবার রাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, যেভাবে শুরু করেছি আগামী এক বছরে ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব।
উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, “আমাদের দেশের ছাত্ররা যে শিক্ষা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ২০ হাজার টাকা বেতন পায়। একই লেখাপড়া করে শ্রীলঙ্কার একজন ছাত্র বেতন পায় লাখ টাকা।এই তামাশা চলছে বিগত ৫২ বছর ধরে।”
তিনি বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৩৫ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য প্রায় এক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন। বছরে প্রায় এক কোটি সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। কিসের সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, কী লেখাপড়া হচ্ছে একমাত্র আল্লাহই জানেন।এর ভেতর দিয়েই আমাকে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে সময় কাটাতে হচ্ছে। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনা যায় কি-না আমরা চেষ্টা করছি। যদিও ইতোমধ্যেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। তারপরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষা যদি শতকরা ২৫ ভাগ ফিরিয়ে আনতে পারি তাহলেও দেশের অনেক উপকার হবে।
ড. আমানুল্লাহ আক্ষেপ করে বলেন, “রাজনৈতিক কারণে বিগত সরকারের আমলে ৯৮৮ জন শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। আদালতের আদেশের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে আনা হবে।”
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিংবডি বাতিল করা হয়েছে। সমাজের উচ্চ থেকে নিম্ন পর্যায়ের মানুষ গভর্নিংবডির সভাপতি হতে চান। এতে কী মধু আছে জানি না। শিক্ষার মান উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি যাতে সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন এজন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।
Discussion about this post