নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রাফি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন। তবে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে।
নাজমুল হাসান রাফি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের শিক্ষার্থী। শুক্রবার শ্বাসকষ্ট আরও বাড়ে বলে নিজে ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন। সে সময় তাকে জরুরিভিত্তিতে আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন হলেও শেষ পর্যন্ত নেয়া হয়নি।
তবে আইসিইউ ছাড়াই রাফির অবস্থার উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ভাই মেহেদি হাসান। তিনি বলেন, ‘ওর অবস্থা আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে। তবে আরো আগে আইসিইউতে নিলে হয়ত আরো উন্নত হতো।’
তিনি বলেন, ‘তবে আমরা তাকে আইসিইউতে নেইনি। কারণ, শুনেছি আইসিইউতে নাকি ডাক্তাররা বেশি রোগীর কাছে যায় না। তাই, চিন্তা করলাম বাইরে থাকলে আমরা তার খোঁজ-খবর নিতে পারবো।
এর আগে গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, ‘আমরা সবসময় তার সাথে যোগাযোগ রেখেছি। তার অ্যাজমা আছে, যার কারণে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। আইসিইউর রোগী হলে ডাক্তাররা ব্যবস্থা নেবে। ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। তাকে এটেনশনে রেখেছে।’
আইউসিউ’র প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে তিনি বলেছিলেন, ‘এ ব্যাপারে কোন তথ্য ডাক্তার বা তার ভাই আমাকে কিছু জানায়নি। ডাক্তাররা একটি ইসিজির ব্যাপারে বললে আমি তাদের ফোন দিয়ে দ্রুত করতে বলছি। তার জন্য যে সিদ্ধান্ত তা ডাক্তাররা নেবে। ডাক্তাররা যদি আইসিইউতে নিতে হবে মনে করে, তাহলে তারা সিদ্ধান্ত নিবে। আমরা এ ব্যাপারে তাদের অনুরোধ করেছি।’
এরও আগে মৃত্যুভয়ে ভীত রাফির ফেসবুক স্ট্যাটাস ছিলো- ‘আমি ঢাবির বুকে মারা যাবো। শ্বাস টেনে বুক ফেটে যখন মারাই যাবো, আমি ঢাবিতে মারা যাবো। একটু বাতাস বুকে নিতে না পারার ব্যর্থতা, বুকের প্রচন্ড ব্যথা আর হৃদস্পন্দন যখন সেঞ্চুরি পার করে হাফ সেঞ্চুরি পার করবে, বুক ফেটে আমি সেখানেই মরবো।
Discussion about this post