শিক্ষার আলো ডেস্ক
৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ‘দৈনিক কালবেলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আমার টাকা পয়সার প্রতি লোভ নেই, ৫ কোটি হলেই চলবে’ শীর্ষক পরিবেশিত সংবাদ এবং ‘ডিসি নিয়োগে লেনদেন ও প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার কথোপকথন ফাঁস’ শীর্ষক শিরোনামে ‘দৈনিক নয়া দিগন্ত’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সারাদেশ তোলপাড় করা এ বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ‘এই যে একটা স্লোগান, দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত। রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়। তো, রক্ত আমরা কাদের জন্য দেব? এখন আমরা রক্ত কাদের জন্য দেবো? আমি যখন দেখলাম আমরা রক্ত দিচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে ভাগ করছে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা রক্ত দিয়ে যাচ্ছি আর ওরা সচিবালয়ে বসে টাকা ভাগ করছে। দ্য মেথড অব পেমেন্ট–৫ কোটি না ১০ কোটি।’ একজন বলছে, ‘আমি ভাই নির্লোভ মানুষ। আমার এত লোভ নাই। ৫ কোটি হলেই চলবে।’ অন্যজন বলছে ‘১০ কোটি।’ প্রথমজন বলছে, ‘তোমার যা মনে হয়।’
আরও পড়ুনঃ চাকরিতে বয়সসীমা ৩৫ বছর প্রত্যাশীদের বিষয়ে প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহের মধ্যে
তিনি বলেন, ‘রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রক্ত দিয়েছে, ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে, আর এই বার্ধক্যের নেতৃত্ব সচিবালয়ে বসে আমাদের রক্ত মাড়িয়ে টাকা ভাগ করে। স্কাউন্ড্রেল…। এই বার্ধক্যের নেতৃত্বের জন্য আমরা (ছাত্র-নাগরিক) রক্ত দিতে প্রস্তুত না।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই আপনারা যারা সচিবালয়ে বসে নীতিনির্ধারণ করছেন, আপনারা সচেতন হোন। কারণ, ছাত্র-নাগরিক ৫ তারিখ যেভাবে হাসিনাকে তার মসনদ থেকে নামিয়েছে, আপনাদের সচিবালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪ মিনিটের ডিসটেন্স। আপনারা সচিবালয়ে বসে ৫ কোটি না ১০ কোটি ভাগ করবেন, আর আমরা বাজারে গিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনতে পারব না, এ জিনিসটা হবে না।’
প্রসঙ্গত, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান এবং একই মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথনে ঘুষের বিষয়টি এসেছে বলে অভিযোগ করা হয়।
এদিকে, ডিসি নিয়োগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে ওঠা ঘুষের অভিযোগ তদন্তে তিন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তদন্তের জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রকাশিত সংবাদকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মো. মোখলেস উর রহমান ।
অন্যদিকে কোনো নির্দোষ কর্মকর্তা যাতে কোনো প্রচারমাধ্যম দ্বারা তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের শিকার না হন এবং বিনা অপরাধে প্রশাসন সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তার চরিত্র হনন করা না হয় সেজন্য সত্যতা যাচাই করে সংবাদ পরিবেশন এর আহ্বান করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
Discussion about this post