নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা দুর্যোগে সংকটে থাকা শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে টেলিভিশনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ মূলক প্লাটফর্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি শিশুর অভিজ্ঞতাকে শিক্ষণের সঙ্গে সংযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষাবিদেরা।
সেই সূত্রধরেই এবার ভিন্ন ধরনের একটি ‘অনলাইন এডুকেশন প্লাটফর্ম’ তৈরি করছে সরকার। রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইনের পাশপাশি এতে যুক্ত হচ্ছে মোবাইলে শিক্ষা কার্যক্রম।
এমনটাই জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ।
সোমবার(১৮মে)গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং-সানেমের করোনাকালীন শিক্ষাবিষয়ক অনলাইন বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের পরিচালনায় অনলাইন সংযোগে আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, গণসাক্ষরতা অভিযান নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মোঃ ফসিউল্লাহ বলেন, করোনাকালীন সময়ে টিভিতে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে
প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়, এটুআই এবং আইসিটি বিভাগ সম্মিলিত ভাবে আমরা একটি এড্যুকেশন ইউনিক প্লাটফর্ম করছি। সেখানে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ফোন করে বিনা পয়সায় শিক্ষা সেবা নিতে পারবে। পছন্দের শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে পারবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শিক্ষার্থীকে কোনো টোল দিতে হবে না। এজন্য সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশের হাতেই মোবাইল ফোন আছে। ফোনগুলোতে রেডিও অপশন আছে। ইউনেস্কোর কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রিমোট লার্নিং এর উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করতে উদ্যোগ নিয়েছি। খুব দ্রুতই এ প্লাটফর্ম তৈরি হলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের পছন্দের শিক্ষককে ফোন করে নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিতে পারবেন।
Discussion about this post