নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা সংকটের কারণে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল আটকে গেছে। পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, করোনা সব প্রস্তুতি শেষ করে দিয়েছে। না হলে আমরা মার্চের শেষ দিকে ফলাফল দিয়ে দিতে পারতাম। এখন অফিস পুরোদমে চালু না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের অপেক্ষা করতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে অনেক আগেই ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করা হতো। তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরার আহবান জানান।
পিএসসি চেয়ারম্যান জানান, বাস্তবতা সবাইকে মানতে হবে। এখন সরকার কর্তৃক সাধারণ ছুটি। করোনার কারণে পিএসসির স্বাভাবিক সকল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পিএসসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারের নির্দেশনায় শুধু চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথেই ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
পরীক্ষার্থীরা এই বিসিএসের ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ায় বেশ উদ্বিগ্ন। তারা বলছেন, এই বিসিএস সম্পন্ন করতে প্রায় তিনবছর লেগে যাচ্ছে। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ জন প্রার্থী আবেদন করেন। গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। গত বছরের ১ জুলাই ৩৮তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে পিএসসি। এতে পাস করেন ৯ হাজার ৮৬২ জন।
৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে জনপ্রশাসনে ২ হাজার ২৪ জন ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ করার কথা ছিল। তবে এখন এই বিসিএসে ১৩৬ জন বেশি নিয়োগ পাবেন। এতে এই বিসিএসে মোট পদের সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ১৬০ জন।
সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বলছে, ফেব্রুয়ারিতে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। এ সময় পিএসসি দ্রুত চূড়ান্ত ফল প্রকাশের কাজ শুরু করে। এই বিসিএস থেকে বিভিন্ন ক্যাডারে প্রায় ৩০০ পদ বাড়াতে চিঠি দেয় জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। পিএসসিকে তখন আবার নতুন করে সব কাজ শুরু করতে হয়। সব ঠিক থাকলে গত মার্চের শেষদিকে ফলাফল প্রকাশ হতো। কিন্তু এ সময় করনোভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় অফিসের কার্যক্রম চালেতে পারেনি পিএসসি। তাই ফল ঝুলে গেছে।
পিএসসি বলছে, জাতির ক্রান্তিলগ্নে চিকিৎসক এবং নার্স নিয়োগের সুপারিশ করার জন্যই মূলত ঝুঁকি নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের সুযোগ নেই।
Discussion about this post