শিক্ষার আলো ডেস্ক
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ভাঙচুর চা লিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে স্লোগান স্লোগানে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে জড়ো হতে থাকে শত শত ছাত্র। পরে তারা ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়িতে হামলা করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের বাধা দেওয়া চেষ্টা করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যারিকেড ভেঙে তারা ৩২ নম্বর বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এরপর রাত ১০টার দিকে তারা বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এই বাড়ি থেকে ফ্যাসিবাদের উৎপত্তি শুরু হয়েছে। তাই দেশের মাটি থেকে এই বাড়ি মুছে ফেলতে চায় দেশের জনগণ। বিশেষ করে গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা সরকার দেশের মানুষের রক্ত চুষে আবার দেশের মানুষকে মারার পরিকল্পনা করছে।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, ভারতে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় ছাত্রদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। এর প্রতিবাদে বুধবার রাত ৯টায় ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ছাত্ররা। তবে তাদের পূর্ব ঘোষিত ঘোষণার আগেই ভাঙচুর শুরু করা হয়।
রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা নানা স্লোগান দিতে দিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে সমবেত হয়ে ভাঙচুরের এক পর্যায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে ক্রেন ও এক্সকাভেটর এনে ভাঙার কাজ শুরু করে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়ি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বাড়িতেই থাকতেন শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়িটি পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়।
তবে ৩২ নম্বর বাড়িটি ভাঙচুর করার সময় বাড়ির সামনে তিনটি পুলিশের গাড়ি ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালানোর সময় পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে একদল সেনা সদস্য পুনরায় ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ির গেটের সামনে পর্যন্ত চলে আসেন। তবে ছাত্রদের বাধার মুখে তারা সেখান থেকে চলে যান। এ সময় ছাত্রদের ভেতর থেকে ভুয়া ভুয়া বলে স্লোগান দিতেও শোনা যায়।
বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার কাজ গড়ায় দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবারেও। বিক্ষুব্ধ শত শত মানুষ ধ্বংসস্তূপ ঘিরে অবস্থান করে উৎসব করতে দেখা গেছে। এসময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
Discussion about this post