অনলাইন ডেস্ক
সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে করোনার প্রকোপ। করোনার কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্বের সব খ্যাতনামা গবেষকরা। এরই মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনকে জনগণের সম্পদ বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই সাথে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে বিশ্বের সব দেশের অংশগ্রহণ করা উচিত বলে মনে করছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকাদান, ভ্যাকসিন ও জৈবিক বিভাগের প্রধান ক্যাথরিন ওব্রায়ান জানান,আমরা যেহেতু ভ্যাকসিন প্রতিরোধ করতে পারব না তাই এই ভ্যাকসিনগুলি সারা বিশ্বকে সুরক্ষিত করার জন্য ব্যবহৃত হবে এবং এটি তৈরিতে প্রতিটি দেশের অবদান থাকবে।
করোনাভাইরাস এখন সীমান্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। যদি একটি দেশ পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করতে পারে বা হার্ড ইমিউনিটি গড়ে তোলে তাতেও খুব একটা লাভ হবে না। একটি দেশ ঝুঁকিতে থাকলেই বাকি সবাই ঝুঁকিতে থাকবে।
উদাহরণস্বরুপ হামের কথা বলেছেন ব্রায়ান। আর যখন আমাদের কোথাও হামের প্রার্দুভাব রয়েছে, তার অর্থ প্রতিটি দেশকে অবশ্যই এই হারে প্রতিরোধক ও টিকাদান চালিয়ে যেতে হবে যা এটি সম্প্রদায়ের প্রতিটি ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেয়। এদিকে গ্যাভির গ্লোবাল ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্সের প্রধান নির্বাহী শেঠ বার্কলে বলছেন, টিকাদান শুধুমাত্র ব্যক্তিকে নয় বরং পুরো সমাজকে রক্ষা করে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফরে বলেছেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে অবদান রাখার জন্য প্রত্যেক দেশকে ভাবা উচিত। চিন্তার বিষয় হলো বেশিরভাগ দেশের অবস্থাই অত্যন্ত নাজুক। ভ্যাকসিন তৈরিতে অবদান রাখার মত সার্মথ্য সবার নাই। কোথায় ভ্যাকসিনের কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়ও নিশ্চিত না।
Discussion about this post