শিক্ষার আলো ডেস্ক
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের কাছে মাদক পাওয়ার অভিযোগে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৮ শিক্ষার্থীকে ১ বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।একই সাথে তাদেরকে আবাসিক হল থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরও ৫ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৭ মার্চ) স্টুডেন্ট ডিসিপ্লিন কমিটির সদস্য সচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৭ মার্চ চুয়েটের শেখ রাসেল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক দল ও হলের সহকারী প্রভোস্টগণ ২টি কক্ষে ১৩ জন শিক্ষার্থী ও ১ জন ডাইনিং বয়কে সন্দেহভাজন অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে রুম দুটি তল্লাশি করে গাঁজা, সিগারেট ও গাঁজা সেবনের উপকরণ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের শাস্তি প্রদান করে।
আরও পড়ুনঃ ১৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে চুয়েট
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের তিনজন চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের, তিনজন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের এবং দুইজন পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি পুরকৌশল বিভাগের দুইজন, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের একজন, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের একজন এবং জৈব চিকিৎসা কৌশল বিভাগের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে আছে। মাদক নির্মূলে আমরা শূন্য নীতি অবলম্বন করছি।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাদকের বিরুদ্ধে এই কঠোর পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে এবং এটি চলমান রাখার আহ্বান জানান।
Discussion about this post