শিক্ষার আলো ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো আজ বুধবার বিকেলে খুলে দেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনে সভাটি শুরু হয়।কুয়েট উপাচার্য মোহাম্মদ মাসুদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বুধবার দুপুরে কুয়েট সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভায় হলগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০১তম (জরুরি সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগামী ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালু করা এবং ২ মে আবাসিক হলসমূহ খোলার বিষয়ে বলা হয়। বুধবার (২৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ১০২তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ ২ মে-এর পরিবর্তে বুধবার বিকালে খোলা হবে।
গত ১৩ এপ্রিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবিতে পুনরায় আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু কোনো সাড়া না উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে সোমবার বিকাল থেকে শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেন। সেদিন ৩২ জন শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে ইতোমধ্যে পাঁচজন অসুস্থ হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন।
এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তিন সদস্যের কমিটি। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।
Discussion about this post