অনলাইন ডেস্ক
যে কোন বয়সী মানুষই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে করোনার লক্ষণ দেখা প্রত্যেকেরই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের ‘কভিড-১৯ ও টিকা দান: অভিভাবকদের যা জানা প্রয়োজন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে শিশুদের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে কি করা উচিত তা তুলে ধরা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপনার সন্তানের যদি গলা ব্যথা হয়, সর্দি অথবা জ্বর দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসক অথবা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে নেওয়ার আগে তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। পাশপাশি আপনার সন্তানের মধ্যে যদি করোনার মারাত্মক লক্ষণ যেমন- শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় কিংবা সে অস্বাভাবিক অসুস্থ পড়ে তাহলে কাছাকাছি কোনো হাসপাতালে নিতে জরুরি নম্বরে ফোন দিন।
ইউনিসেফ বলছে, আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুরই খুব সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে। এমনকি অনেকের ক্ষেত্রে কোনো লক্ষণই দেখা যায়নি। কিন্তু বয়স্ক ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা অন্যদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে যদি আপনার শিশুর মধ্যে করোনার লক্ষণ দেখা দেয় কিংবা সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে আপনার মনে হয় তাহলে তাকে বাড়িতেই রাখুন। কিন্তু প্রয়োজনে তার চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ গ্রহণ নিশ্চিত করুন।
ইউনিসেফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আপনার ও আপনার সন্তানের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের অন্য সংক্রমণ যেমন — ফ্লু দেখা দিলে দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পরামর্শ নিন। এছাড়া জনসমাগম স্থলে (যেমন- কর্মক্ষেত্র, স্কুল ও গণপরিবহন) না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এ সময় শিশুদের বয়স্কদের সংস্পর্শ থেকে অথবা পরিবারে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের কাছ থেকে দূরে রাখুন।
ইউনিসেফ বলছে, আপনার সন্তানের মধ্যে যদি করোনার কোনো লক্ষণ (যেমন- জ্বর, সর্দি অথবা শ্বাসকষ্ট) না থাকে এবং সে যদি সুস্থ থাকে, তবে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার কোনো প্রয়োজন নেই। বরং করোনা থেকে পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো গুরুত্বসহকারে মেনে চলা উচিত।
Discussion about this post