আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮শ ৪৪ দশমিক ৪৩ মিটার বলে জানালো চীনা সার্ভে টিম। এভারেস্টের তিব্বতিয়ান জোন থেকে সামিট করে এ উচ্চতা নিশ্চিত করেছে তারা। চীনা সার্ভে টিম বলছে নেপাল এতদিন যে উচ্চতার কথা বলে আসছে প্রকৃতপক্ষে তার চেয়ে উচ্চতা ৪ মিটার কম এভারেস্টের উচ্চতা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
গত ১ মে থেকে নেপালের পরিমাপের সঙ্গে ভিন্নমত জানিয়ে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা মাপার নতুন সার্ভে শুরু করে চীনের একটি দল।
এভারেস্ট সামিট করার পর গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম এন্টেনা প্রতিস্থাপন করে প্রযুক্তির সাহায্যে তুষারঢাকা পর্বতের উচ্চতা পরিমাপ শুরু করে চীনের দলটি। তাতে ২০ স্কয়ার মিটার বা প্রায় চার মিটার উচ্চতা কম পায় নেপালের হিসাব থেকে।
চীনা জরিপকারীরা এ পরিমাপের জন্য ছয় দফা পরিমাপ ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়েছে। এর আগে ১৯৭৫ ও ২০০৫ সালে তাদের জরিপে এভারেস্টের উচ্চতা ছিল যথাক্রমে ৮৮৪৮.১৩ ও ৮৮৪৪.৪৩ মিটার।
তিব্বতিয়ান ভাষায় এভারেস্টকে বলা হয় মাউন্ট কোমোল্যাংমার। পর্বতের এই পরিবর্তনগুলি ভূতত্ত্ব ও বাস্তুশাস্ত্রের বৈশ্বিক অধ্যয়নের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি মানুষের জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন চীনের প্রাকৃতিক সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী চেন গ্যাং।
এভারেস্টের সঠিক উচ্চতা পরিমাপ হিমালয়ের উচ্চতা পরিবর্তন ও কিংহাই তিব্বত মালভূমি নিয়ে গবেষণায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সামিট করার পর চীনা দলটি চূড়ায় আড়াই ঘণ্টা ছিল, যেটা চীনের পর্বতারোহীদের জন্য নতুন রেকর্ড। চীন ও নেপাল তাদের ১৯৬১ সালে এভারেস্ট সামিটের মধ্য দিয়ে তাদের সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি করে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেপালের চেয়ে আন্তর্জাতিক পর্বতারোহীরা তিব্বতের সাইড বেছে নিচ্ছে বলে দাবি চীনের। করোনা ভাইরাসের কারণে নেপাল তাদের পাশ থেকে সামিট বন্ধ রাখলেও তিব্বতের পাশ থেকে ১ মের পর খুলে দেওয়া হয়। চীনী মোবাইল কোম্পানি হুয়াওয়ে এরই মধ্যে এভারেস্টে বিশ্বের সর্বোচ্চ ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করেছে। যেটা সাড়ে ৬ হাজার মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা। এই নেটওয়ার্ক সক্ষমতা সর্বোচ্চ চূড়া পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া যায় কিনা তা এখনও গবেষণাধীন বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
Discussion about this post