ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ
আমার অনেক কথা বলার আছে। উপসর্গ ও আক্রান্তের কাছাকাছি থাকার পরও গত দশ দিনে আমি দুইবার করোনা নেগেটিভ হয়েছি। আমার ১৬ বছরের মেয়ে ও বাড়ির তিনজন কর্মী দশ দিন আগে করোনা পজিটিভ হয়েছে। এদের কেউই গত দুই মাসে একবারও বাসার বাইরে পা দেয়নি। একটি চমৎকার পরিকল্পনা কীভাবে ভেস্তে যেতে পারে সেটির জ্বলন্ত উদাহরণ আমাদের বাসা। অবশ্যই, অবস্থার এই অবনতির পর আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি এবং আমি ছাড়া বাসার করোনা নেগেটিভ সবাইকে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের মত হলো, এমন পরিস্থিতিতে আমার করোনা নেগেটিভ এলেও নিজেকে পজিটিভ হিসেবে ধরে নিতে হবে। আমি একজন কঠিন প্রকৃতির মানুষ। নিশ্চিত হয়ে জানতে চাই আমি আক্রান্ত হয়েছি নাকি আক্রান্ত হইনি। এবং কোনও একসময় অ্যান্টিবডি (সেরোলজিক্যাল) পরীক্ষা করতে যাবই।
২৯ মে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। ১১ হাজার ৩০১টি পরীক্ষার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ২ হাজার ৫২৩ জন, শতকরা হিসেবে স্তম্ভিত হওয়ার মতো ২২ শতাংশ। প্রতিদিনই আক্রান্তের হার বেড়ে চলেছে, হাসপাতালের বেডগুলো রোগীতে ভরে যাচ্ছে, বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সংক্রমিত হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে যখন আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে তখন সরকার বিপরীত পদক্ষেপ নিয়ে জাতিকে বিস্মিত করছে। ভয়ের, তাই না? সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানোর কী হবে? আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলে হাসপাতালগুলো কীভাবে মানিয়ে নেবে?
দুঃখের বিষয় হলো, যখন জীবন ও জীবিকার প্রশ্ন সামনে চলে আসে, তখন আমাদের মতো দেশগুলো কঠিন সিদ্ধান্তের মুখে পড়ে যায়। আমি কোনও পক্ষ নিতে যাচ্ছি না। কারণ আমি বুঝতে পারি যে, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সাধারণত তথ্য-উপাত্তের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়, যাতে তা অধিকাংশ মানুষের স্বার্থের পক্ষে যায়। গত তিন মাসের বিভিন্ন সময় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ লকডাউনে ছিল। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনাম আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রত্যাশিত এক অঙ্কে নিয়ে আসতে পেরেছে। এই দেশগুলোর লকডাউনের পাশাপাশি শনাক্ত, পরীক্ষা, বিচ্ছিন্ন, সংস্পর্শে আসাদের শনাক্ত ও চিকিৎসার জন্য বিস্তৃত পরিকল্পনা সব সময় ছিল। একই সঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। অবশ্যই এই দেশগুলোর শক্তিশালী জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বছরের পর বছর ধরে চিকিৎসাখাতে বিনিয়োগ এবং সার্স ও এইচ১এন১ ইত্যাদির অভিজ্ঞতায় ভালোভাবে মহামারি মোকাবিলায় সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশেও অর্থনৈতিক প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে, সরকারের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু তবু আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না যে বর্তমানের অপ্রতুল জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেছে দুই মাসের মধ্যে।
কোভিড সংখ্যা ও পরিস্থিতিতে ফিরে আসি। গত দুই সপ্তাহে পরিবার নিয়ে অভিজ্ঞতায় আমার কিছু পর্যালোচনা আছে। আমাদের বাসায় ৭৭ বছরের মা-সহ লোকসংখ্যা ১১ জন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নেওয়া ব্যবস্থার কোনও একটির দুর্বলতার সুযোগে আমার মেয়ে আক্রান্ত হয়েছে। তার একদিন ধরে জ্বর ও দ্রুত নিঃশ্বাস নিচ্ছিলো। এতে করে বাসার সবার পরীক্ষা করানো হয়। আরও তিনজনের করোনা শনাক্ত হয় এবং তাদের কারও কোনও লক্ষণ-উপসর্গ ছিল না। ফলে যদি আমরা পরীক্ষা না করতাম তাহলে এই তিনজনের আক্রান্তের কথা কখনও জানতে পারতাম না। এতে আমরা কী বুঝতে পারছি? আমরা কি ধারণা করতে পারি না সমাজে লক্ষণ-উপসর্গহীন আক্রান্ত অনেকেই রয়েছেন এবং রোগটি নীরবে ছড়িয়ে যাচ্ছে?
আমাদের ক্ষেত্রে যদি পুরো পরিস্থিতি ভিন্নভাবে তুলে ধরা হতো তাহলে আমরা কী ভাবতাম? যেমন, কল্পনা করুন বাংলাদেশে এমন প্রতিবেদন পাওয়া গেলো যে, দেশে মোট আক্রান্ত ৪৫ হাজার জনের মধ্যে লক্ষণ ও উপসর্গহীন ১০ হাজার মানুষ, ২৪ হাজার মানুষের হাল্কা থেকে মাঝারি লক্ষণ ও উপসর্গ আছে, ৯ হাজারের অধিক মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগই সুস্থ হওয়ার পথে এবং দুর্ভাগ্যক্রমে ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটি কি ভালোভাবে উপস্থাপন? এতে কি রোগটি সম্পর্কে আমাদের উপলব্ধিতে কিছুটা পার্থক্য আনে? আমরা কি কাজে ফিরে যেতে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হই? মনে করিয়ে দিতে চাই, এই সংখ্যাগুলো পর্যালোচনার ভিত্তিতে কল্পনামাত্র এবং আমি তা গুরুত্বসহকারে ভাবছি। কথা হলো, যদি তথ্য আরও বেশি স্বচ্ছ হয় তাহলে ইতিবাচক উপলব্ধি নিয়ে বাস্তবতা অনুধাবনে সহযোগিতা করবে। যাই হোক, গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট থেকেই যায়, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বলে দেয় সংক্রমণে অবস্থা কেমন হবে এবং ভাইরাল লোডও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
যেসব দেশ লকডাউন প্রত্যাহার করেছে সেগুলোতে সময়ে সময়ে জরুরি পদক্ষেপ পুনরায় জারি করতে হয়েছে। জার্মানি, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, মালয়েশিয়া—সব দেশই নতুন আক্রান্ত শনাক্তের প্রেক্ষিতে পুনরায় বিধিনিষেধ জারি করেছে। বাংলাদেশকেও হয়তো একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরাও হয়তো আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির গতি এবং এরপর ধীরে ধীরে সেটির নিম্নগতি দেখতে পাবো। টিকা বা নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের আগ পর্যন্ত আমাদের হয়তো কোভিডকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকা শিখতে হবে। সার্স-কভ২ এর মতো রেট্রোভাইরাস পরিবর্তিত হতে থাকায় কার্যকর টিকা উদ্ভাবন জটিল হয়ে পড়ায় দুটি অবস্থার মধ্যে দ্বিতীয়টিই ভালো।
দেশসচল হওয়ার পরআমাদের কর্তব্যকী?
পরস্পরের জন্য সতর্ক হওয়া আমাদের সম্মিলিত দায়িত্ব। আমাদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী এবং পুরো সম্প্রদায় নিরাপদ থাকলেই কেবল আমরা নিরাপদ থাকতে পারি। বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক পরা যেকোনও জায়গায় ভাইরাসপূর্ণ বাতাসে শ্বাস গ্রহণে সুরক্ষা দেয়। সেই এন-৯৫ মাস্কটি সংরক্ষণ করুন, এটি ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করুন। কিংবা সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করুন বা আপনি নিজেই তৈরি করুন। মাস্ক উপসর্গমূলক এবং অ্যাসিম্পটোমেটিক সংক্রমণ দুটি থেকেই সুরক্ষা দেয়। প্রয়োজন ছাড়া জনাকীর্ণ জায়গায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন। মাস্কের সঙ্গে চশমা/সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
প্রয়োজন অনুযায়ী ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে নিন বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
বিভিন্ন অফিসের মালিকদের বাতাস চলাচল সম্পর্কে পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন হতে পারে। অফিসগুলোতে আরও বেশি বাইরের বাতাস চলাচলের প্রয়োজন হতে পারে। এসির বাতাস, জানালা বা ভেন্টিলেটরবিহীন কক্ষের মতো স্থানগুলো প্রাকৃতিক বাতাস আটকে দেয়। এই জায়গাগুলো ভাইরাসের আধার। মাস্ক ছাড়া এসব স্থানে ১৫-৩০ মিনিট অবস্থান স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। প্রত্যেককে অবশ্যই ৬ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
ভিটামিন সি ও ডি, দস্তা, কালোজিরার তেল; আদা, লবঙ্গ, এলাচ ও দারচিনিযুক্ত তুলসী চা এবং প্রতিদিন বাইরে সূর্যের আলো নেওয়া আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
যদি কোনও ব্যক্তির লক্ষণ থাকে বা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তাহলে তার নিজের ব্যক্তিগত ও গ্রুপের সুরক্ষায় ব্যাপকভিত্তিক ব্যবস্থা নিয়ে রাখাটা সবচেয়ে ভালো। মোবাইলের ‘স্পিড ডায়ালে’ পারিবারিক চিকিৎসকের নম্বর রাখা জরুরি। ফোনে নিকটতম টেস্টিং বুথ ও হাসপাতালের নম্বর সেভ করে রাখা উচিত। পরিবার ও কমিউনিটির প্রবীণদের অবশ্যই সবসময় সুরক্ষিত রাখতে হবে।
হাসপাতালগুলো কি একটি জাতীয় নির্দেশনা পেয়েছে?
সরকার এখন পর্যন্ত কী কাজ করেছে তার ভিত্তিতে একটি বিস্তৃত কোভিড-১৯ ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল প্রতিষ্ঠা করেছে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন, অ্যান্টি-কোয়াগুলেশন থেরাপি, রেমডেসিভির অথবা ফাভিপিরাভির ব্যবহার, কোনও রোগী অন্তঃসত্ত্বা হলে পজিশন পরিবর্তন; এগুলো রোগের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে হাসপাতালের সেটিংয়ে সুপারিশ করা হয়।
বাড়িতে অক্সিমিটার ব্যবহারের ডিজিজ প্রগনোস্টিক ভেল্যু রয়েছে। তবে অক্সিজেনের স্যাচুরেশন যদি ৯২ শতাংশের কম হয় এবং রোগীর শ্বাসকষ্ট হয় তবে তার উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন প্রয়োজন; যা হাসপাতালে আরও ভালোভাবে দেওয়া যায়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কোভিড অঞ্চলগুলো থেকে নন কোভিড অঞ্চলগুলো বিচ্ছিন্নকরণের পাশাপাশি যথাযথ আইসোলেশনের সঙ্গে বিপুল সংখ্যক রোগীর মধ্যে অগ্রাধিকারভিত্তিতে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।
পরীক্ষার ক্ষেত্রে কি আমাদের দক্ষতা বাড়াতে পারি?
পরীক্ষা বাড়ানো প্রয়োজন। এফডিএ অনুমোদিত র্যাপিড অ্যান্টিজেন এবং সেরোলজিক্যাল টেস্টিং এখানে সহজলভ্য। আরটি-পিসিআর সেরা বিকল্প। তবে এটি ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন। এফডিএ অনুমোদিত অ্যান্টিজেন টেস্টিং সস্তা। এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে কোভিড শনাক্ত করে একদিনের মধ্যে পরীক্ষার সংখ্যা কয়েক মিলিয়ন করে বাড়াতে পারে। হ্যাঁ, এখনও এটিতে ভুল ফল দেখানোর আশঙ্কা রয়েছে। তবে ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা হিসেবে পুনরাবৃত্তির জন্য এটি এখনও সস্তা ও দ্রুত।
সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা শিগগিরই বাধ্যতামূলক হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে কোভিড রয়েছে এমন লোকদের শনাক্ত করতে প্রায় শতভাগ সঠিক। প্লাজমাতে আইজিএম (শুরুর অ্যান্টিবডি) এবং আইজিজি (লক্ষণ শুরুর ১০ দিন পরে) অ্যান্টিবডিগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করে যে, কোন ব্যক্তির ইতোমধ্যে লক্ষণ কোভিড ছিল।
অনেক সময় কোভিড পজিটিভের রক্তে অ্যান্টিবডিগুলোর উচ্চ স্তরের পরিমাণ নাও থাকতে পারে। এসব ব্যক্তির টি-সেল মধ্যস্থতা প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি শক্তিশালী এবং হিউমোরাল ইমিউনিটি যা বি-কোষ/প্লাজমা কোষের অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা রাখে সেটা হয়তো কম থাকে। তবুও সেরোলজিক্যাল টেস্টগুলো এমন ব্যক্তিদের শনাক্ত করবে যেগুলো তাদের প্লাজমা থেরাপির জন্য রক্তদান করতে পারে। এটা কেস স্টাডি হিসেবেও দেখা যেতে পারে, তাদের আরএআর-কোভ২ কতক্ষণ অনাক্রম্য থেকে যায় এবং পরে তাদের ইমিউনিটি পাসপোর্ট দেওয়া যায় কাজে যোগদানের জন্য। ইউকে ও সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে এটি শুরু করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্পর্কে এখনও অনেক জল্পনা চলছে যে, এই পরীক্ষাগুলো তারা এখনও কেন সুপারিশ করছে না। যদি এটা হয়ে থাকে তবে যখন রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না থাকে, যখন হট স্পট ঝুঁকি হ্রাস না করা হয়, যখন স্কুল ও কর্মক্ষেত্রগুলো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এবং কমিউনিটিগুলো একটি নতুন স্বাভাবিকতায় বসবাসের জন্য পুরোপুরি শিক্ষিত, যুক্ত ও ক্ষমতায়িত হয়নি তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা লকডাউন তুলতেও সুপারিশ করে না। আমরা এখনও এই মানদণ্ডগুলো পূরণ করতে পারিনি। তবে আমাদের জীবিকা ও অর্থনীতি বাঁচাতে আবার সব সচল হচ্ছে।
আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমাদের পরীক্ষার ক্ষমতা বাড়াতে হবে। গ্লোবাল হেলথ সিকিউরিটি ইনডেক্সে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হেলথ প্যারামিটারের কয়েকটি শক্তির মধ্যে একটি হচ্ছে জাতীয় পর্যায়ে শক্তিশালী পরীক্ষাগারের সক্ষমতা। এখন এর সদ্ব্যবহারের সময় এসেছে।
শেষ পর্যন্ত আমাদের পরস্পরের শক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। সরকারকে বেসরকারি খাতের শক্তির সদ্ব্যবহার করে রিসোর্সগুলোর সংরক্ষণ করা দরকার। এনজিওগুলোর সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তা বিতরণ বা সচেতনতামূলক প্রোগ্রামে ব্যবহার করতে এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের উপশম করতে সহযোগিতা করুন। ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আরএমজি খাত ইতোমধ্যে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, পিপিই ও মাস্ক তৈরি করে এগিয়ে এসেছে। তারা তাদের যথাযথ স্বীকৃতির দাবিদার। বৃহত্তর কল্যাণের জন্য অস্থায়ী হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারগুলোতে বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় সেবার আরও উন্নয়ন ঘটাবে। একইসঙ্গে এটি সক্ষমতাও বৃদ্ধি করবে। শেষ পর্যন্ত ডাটা ও সংখ্যাগুলো একটি গল্প বলে, একটি তারুণ্যনির্ভর ডেমোগ্রাফি এবং গত দুই মাসের লকডাউন আমাদের সংখ্যাগুলো দেখতে ভালো রেখেছে। আসুন এটিকে এভাবেই রাখার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।
লেখক: অর্গানিকেয়ার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। এমবিবিএস, এমবিএ এবং হেলথকেয়ার লিডারশিপে মাস্টার্স।
Discussion about this post