নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদান করছে চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি (ইডিইউ)। তিনটি স্কুলের অধীনে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দশটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার পাঠ নিতে পারছে আগ্রহীরা।
বিশ্বমানের কারিকুলামের পাশাপাশি বিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো নানান সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। এসব সুযোগ-সুবিধা ও কারিকুলাম নিয়ে আলোচনা করতে ‘কেমন হবে ইডিইউতে উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতা?’ শীর্ষক অনলাইন সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে।
রোববার (৩১ মে) বিকেল ৪টায় ইডিইউর অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সেশনটি পরিচালিত হয়। মেধাবী ও অসচ্ছ্বল শিক্ষার্থীদের জন্য ১০টি বৃত্তির বিষয়েও আলোকপাত করা হয় এসময়। আলোচনা হয় ইডিইউর ১৬টি ক্লাবের কার্যক্রম নিয়েও। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট লিডারশিপ অ্যাক্সপেরিয়েন্স (আইজিএলই) কোর্স সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়। বিদেশে গিয়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বচক্ষে দেখে আসার সুযোগ প্রদানে এ কোর্স চালু করেছে ইডিইউ। এসময় আইজিএলই’র প্রথম ব্যাচের অভিজ্ঞতার স্মারক হিসেবে দুবাই কার্যক্রমের ছবি ও ভিডিও সম্প্রচারিত হয়।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান ও উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান। বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী, ইডিইউর স্কুল অব লিবারেল আর্টসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. নাজিম উদ্দিন ও স্কুল অব বিজনেসের অ্যাসোসিয়েট ডিন ড. রকিবুল কবিরসহ ফ্যাকাল্টি মেম্বার, প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এবং অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
ইডিইউতে স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, ইংরেজি, অর্থনীতি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রনিক ও ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেক্ট্রিকাল ও টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এমবিএ, এমএ ইন ইংলিশ, মাস্টার অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড লিডারশিপ, এমএসসি ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয়।
ডিনগণ তাদের স্কুলের বিস্তারিত বর্ণনার পাশাপাশি বিশেষত্বগুলো তুলে ধরেন। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলতে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সমন্বয় করে আমরা পাঠ্যক্রমে প্রতি সেমিস্টারেই নতুনত্ব আনি, নতুন বিষয় ও টপিক যুক্ত করি। এতে সমকালীন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তত্ত্ব ও জ্ঞান দিয়ে থাকি। এছাড়া ইডিইউতে শিক্ষার্থীদের স্কিল বা সক্ষমতা বাড়াতে নানা কার্যক্রম পরিচালিত থাকায় কর্মজীবনের জন্য তারা পরিপূর্ণতা অর্জন করতে পারে।
প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট ডিরেক্টর শাফায়েত কবির চৌধুরী বলেন, ইডিইউর প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমানের নেতৃত্বে আমরা ইডিইউতে উচ্চশিক্ষার অভিজ্ঞতাকে প্রতিনিয়ত উন্নত করতে সচেষ্ট। কভিড-১৯ এর মহামারীতে অনলাইনে পাঠদান কার্যক্রমে আমরা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষায় এক নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছি। এ দুর্যোগে ইডিইউতে একদিনের জন্যও ক্লাস কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। নতুন সেমিস্টারের অনলাইন অভিজ্ঞতা উন্নত করতে শিক্ষার্থীদেরকে উপহার হিসেব পর্যাপ্ত মোবাইল ডাটা দিবে কর্তৃপক্ষ।
এসময় বক্তারা ইডিইউর নানা রকম সুযোগ-সুবিধাসমূহে আলোকপাত করেন। ইডিইউতে স্টুডেন্ট স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার এবং একাডেমিক হেল্প সেন্টার আছে, যাতে তারা নিজেদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনে সঠিক পথপ্রদর্শকের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ইডিইউতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে একাডেমিক অ্যাডভাইজর দেয়া হয়েছে। আরো আছে অ্যাক্সেস একাডেমি, যেখানে শিক্ষার্থীদের ইংলিশ, ম্যাথ, প্রেজেন্টেশন স্কিল ও সোশ্যাল লিডারশিপের মতো বেসিক বিষয়গুলো উন্নত করা হয়।
Discussion about this post