বিনোদনডেস্ক
নোবেল নামেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত তিনি। তবে পুরো নাম আদিল হোসেন নোবেল। শুধুমাত্র মডেলিং দিয়েও যে দেশব্যাপী জনপ্রিয়তার জাল ছড়ানো যায়, তার জীবন্ত উদাহরণ তিনি। নব্বই দশক থেকে শূন্য দশক মাতানো এই মডেল নিজেকে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অন্য হাজারো মডেলের কাছে তিনিই মডেল।
শুধু মডেলিং করেই নাটক সিনেমার তারকাদের মতোই ভক্তদের আইকন তিনি।
বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগ মডেলকে যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনার আদর্শ কে? অথবা আপনার প্রিয় মডেল কে? উত্তরে অনেকেই যে নামটি বলেন তিনি ‘নোবেল’। অথচ, নোবেল কখনও ভাবেননি এতটা জনপ্রিয় হবেন! কিংবা টেলিভিশনের পর্দায় তাকে দেখা যাবে সেটাও কল্পনা করেননি। বাস্তব জীবনে মানুষের যেমন লক্ষ্য থাকে কিছু হওয়ার, সেখানেও নোবেল মডেল শব্দটি ব্যবহার করেননি। তবুও তিনি আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেল। এ প্রজন্মের মডেলদের আইকন।
নব্বই দশকের শুরুর দিকে ‘লোনলি ডে, লোনলি নাইট’ শিরোনামের একটি বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েই দর্শকদের সামনে আসেন তিনি। তবে তার করা প্রথম বিজ্ঞাপন ছিল কোমলপানীয় স্প্রাইটের। আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় নির্মিত এ বিজ্ঞাপনটি প্রচার হয়নি। পরবর্তী সময়ে একই নির্দেশকের আজাদ বলপেনের বিজ্ঞাপন করে বেশ আলোচিত হন। এরপর বাকিটা ইতিহাস।
জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এ মডেল ও অভিনেতার ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই চলচ্চিত্রের প্রতি অনীহা ছিল। সাড়া জাগানো ছবি ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার অনুরোধ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু করেননি। করলে হয়তো ইতিহাস অন্যরকম হতো। বলা যায় নোবেল না করাতেই সালমান শাহর ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়।
কেয়ামত থেকে কেয়ামত ছবি ছেড়ে দেয়ার প্রসঙ্গ টানলে নোবেল বলেন, আমি কখনও চাইনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। মনমানসিকতাও ছিল না। ভবিষ্যতেও চলচ্চিত্রে অভিনয় করব না। আমি আর ইমন (প্রয়াত সালমান শাহ) একসঙ্গেই মডেলিং শুরু করি। সে যখন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবি করে হিট হয়ে যায়, তারপর একদিন আমাকে বলে, তুমি তো অভিনয় করলে না, না হয় আজ আমার জায়গায় তুমি থাকতে। আমি তাকে দুষ্টুমি করে বলেছিলাম, দোস্ত আমি অভিনয় করলে তো তুমি আজ এত জনপ্রিয় হতে পারতে না।”
সিনেমা, নাটক কিংবা মিউজিক ভিডিওর বাইরে মডেলিং জগতেও যে জনপ্রিয় জুটি গড়া যায় সেটার প্রমাণও দিয়েছেন নোবেল। জুটি বেঁধেছেন সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের সঙ্গে। এছাড়া তানিয়া, সুইটি, তিশার সঙ্গেও সফল জুটি ছিল তার। মডেলিং জগতের বাইরে অভিনয়েও তিনি সুপরিচিত। তবে তা ছিল নির্মাতাদের অনুরোধে এবং এর সংখ্যা হাতেগোনা। ‘প্রাচীর পেরিয়ে’ ছিল তার অভিনীত প্রথম টিভি নাটক।
প্রথম নাটকের স্মৃতিচারণ করে নোবেল বলেন, ‘নাটকে অভিনয়ের ইচ্ছা ছিল না আমার। নির্মাতাদের অনুরোধে অভিনয় করি। তবে দুটি বিষয় অবশ্যই আমার মাথায় থাকে। প্রথমত ভালো গল্প হলে আর দ্বিতীয়ত চাকরির বাইরে হাতে সময় থাকলে।
মডেলিং ও অভিনয়ের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতিও যে নোবেলের ভালো লাগা এবং ভালোবাসা রয়েছে, তা অনেকের কাছে অজানা। ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহের কথা জানতে চাইলে নোবেল বলেন, ‘আমি যখন চট্টগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ি তখন থেকেই ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্য আমার। সে সময় স্কুল ক্রিকেট লিগ শুরু হয়। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেটে জড়িত হওয়া।
Discussion about this post