নিউজ ডেস্ক
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ফের সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে সরকার। সেজন্য আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
কয়েক দফায় ৬৬ দিনের ছুটি শেষে গত ৩১ মে থেকে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হলেও বন্ধ রয়েছে পাঠদান। শিগগিরই তা শুরু হচ্ছে না বলেও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত সোমবার ১েজুন)(সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও কনফারেন্সে বলেন, অসচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা পরিস্থিতির যদি অবনতি হয় এবং জনস্বার্থের বিপরীতে যায়, তাহলে সরকার ফের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে।
করোনাভাইরাসে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজারের বেশি। আর গত রোববার ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৪০ জনের মৃত্যু হয়। ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের তালিকায় ওইদিন বিশ্বে বাংলাদেশ সাত নম্বরে ছিলো।
সরকারের নীতিনির্ধারকরা জানান, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে শ্রমজীবী, খেটে খাওয়া, নিম্ন আয়ের মানুষের জীবিকা এবং অর্থনীতির কথা বিবেচনায় সাধারণ ছুটি ও লকডাউন তুলে দেয় সরকার। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে অন্য কোনো উপায় থাকবে না। পুনরায় সাধারণ ছুটি ও লকডাউন দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের একজন মন্ত্রী সাংবাদিকদেরকে জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অন্তত এক সপ্তাহ কঠোরভাবে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। সংক্রমণের মাত্রা বাড়লে পুনরায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হবে। এছাড়া লকডাউন দিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদেরকে বলেন, চরম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে আমাদের। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদেরকে বলেন, এটাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিষয়টি এমন নয়। আগামী ১৫ দিন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দেশ ও জনগণের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতেও করোনা আক্রান্তের হার বাড়ছে। সেখানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখের বেশি। এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৬২৮ জন। তবে ইউরোপে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। সেখানে লকডাউন শিথিল বা তুলে নেওয়া হচ্ছে। আবার দ্বিতীয় বা তৃতীয় আঘাত নিয়েও বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
Discussion about this post