ক্রীড়া ডেস্ক
এ বছর ৮ জন নারী ফুটবলার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সারা বছর বাফুফের ক্যাম্পে থেকে অনুশীলন এবং নিয়মিত খেলাধুলায় অংশ নেয়ার পাশাপাশি পড়াশোনায়ও যে মেয়েরা ভালো, সেটা তারা প্রমাণ করেছেন পরীক্ষায় পাস করে।
মেয়েদের এই সাফল্যে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তাদের সংবর্ধনা দেয়ার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছে বাফুফেকে। নিজ নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় এনে তাদের মিষ্টিমুখ করানো হবে বলে বাফুফেকে প্রস্তাব দিয়েছে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান।
তবে বাফুফে থেকে পরিষ্কার বলে দেয়া হয়েছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর যখন মেয়েরা ক্যাম্পে উঠবেন তখনই তাদের এই সংবর্ধনা দেয়া যাবে। শুধু সংবর্ধনার জন্য মেয়েদের কোনোভাবেই ঢাকায় আনা যাবে না।
এ বাইরেও বাফুফে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সংবর্ধনা প্রদানে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। সংবর্ধনায় তারা শুধু মেয়েদের মুখে একটা মিষ্টি তুলে দিয়ে আর হাতে একটা ফুলের তোড়া ও সস্তা কোনো গিফট ধরিয়ে দেবে, সেটা হবে না। কারণ, বাংলাদেশের মেয়ে ফুটবলাররা এখন আর যে কোনো কিছু হাতে ধরিয়ে দিয়ে সংবধর্না দেয়ার মতো অবস্থায় নেই।
এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে। মেয়েরা বিভিন্ন টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর তাদের সংবর্ধনা দেয়ার হিড়িক পড়েছিল। আর সংবর্ধনার নামে কিছু প্রতিষ্ঠান মেয়েদের হাতে ঘটি-বাটি ধরিয়ে দিয়ে বিশাল কাভারেজ নিয়ে গেছে। সে অভিজ্ঞতা থেকে বাফুফে এখন সতর্ক।
এ বিষয়ে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা উইংসের চেয়ারপার্সন মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘আমি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেছি। যারা সংবর্ধনা দেবে তারা কিভাবে দেবে, মেয়েদের কি উপহার দেবে, সেটা যেন আগেই নিশ্চিত করা হয়। কারণ, উপহার অবশ্যই জাতীয় দলের মেয়েদের জন্য সম্মানজনক হতে হবে।’
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘যারা সংবধর্না দিতে চাচ্ছে, তাদের প্রথম ইচ্ছা ছিল- মেয়েদের ডেকে শুধু মিষ্টিমুখ করাবে। আমরা বলেছি সেটা হবে না। তাদের কি উপহার দেয়া হবে, সেটা আমাদের আগেই জানাতে হবে। আমরা তার মূল্য বিবেচনা করবো। মেয়েদের দেয়া উপহার সম্মানজনক না হলে সংবর্ধনার অনুমতি দেয়া হবে না।’
Discussion about this post