নিজস্ব প্রতিবেদক
সংসদ টিভি দেখতে পাওয়া যায় না এবং অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ নেই এমন এলাকার তথ্য নির্ধারিত ছকে পূরণ করে আগামী ৭ জুনের মধ্যে ইমেইলে (agas@dshe.gov.bd) অধিদপ্তরে পাঠাতে চিঠিতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের। জেল- উপজেলা ও স্কুলের নাম নির্ধারিত ছকে পূরণ করে শিক্ষার্থী সংখ্যা এবং অনলাইন বা সংস্কৃত ক্লাস করতে না পারার কারণ উল্লেখ করে এসব তথ্য পাঠাতে হবে।
গত ২৯ মার্চ সকাল থেকে সংসদ টিভিতে ‘আমার ঘরে আমার ক্লাস’ শিরোনামে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বেলা এগারোটা থেকে দুপুর দুইটা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সংসদ টিভিতে মাধ্যমিকের ক্লাস প্রচার করা হচ্ছে। সংসদ টিভি দেখতে না পাওয়ায় এবং অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ না থাকায় কর্তব্যরত অনেক শিক্ষার্থী সংসদ টিভি ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংসদ টিভি ক্লাস থেকে বঞ্চিত এলাকার স্কুলগুলোর তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ৭ জুনের মধ্যে এসব এলাকায় স্কুলের তথ্য অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের।
বুধবার (৩ জুন) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ-সংক্রান্ত চিঠি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ক্লাসের সময়ের সাথে সমন্বয় করে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। অর্থাৎ সংসদ টেলিভিশনে যে সময়ে যে শ্রেণির ক্লাস চলে ঐ সময়ে অন্য শ্রেণির ক্লাস অথবা সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রচারিত “আমার ঘরে আমার স্কুল” নামে শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমের আগে বা পরে তারা শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে পারবে, তবে এ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট হতে কোনরূপ টাকা দাবি করা যাবে না।
গত ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টিভিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির মোট দশটি ক্লাস সম্প্রচার করা হবে সংসদ টিভিতে।
টেলিভিশনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক ক্লাস দেখলেই কাজ শেষ নয়। টিভিতে প্রচারিত প্রতিটি ক্লাসের পর দেয়া হবে বাড়ির কাজ। আর প্রতিটি বিষয়ের আলাদা খাতায় সেই বাড়ির কাজ শেষ করতে হবে। করোনার তাণ্ডব শেষ হলে যখন স্কুল খোলা হবে তখন শিক্ষকদের সেই বাড়ির কাজের খাতা দেখাতে হবে। বাড়ির কাজের প্রাপ্ত নম্বর ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে।
Discussion about this post