ক্রীড়া ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারি দেশে এর প্রভাব বিস্তারের শুরু থেকেই সমাজসেবামূলক কাজে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। কখনও দলীয়ভাবে, আবার কখনও ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় ক্রিকেটাররা।
সারাদেশ যখন করোনার সঙ্গে লড়ছিল, তখন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে গত ২০ মে হয়ে গেছে প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে সুপার সাইক্লোন আম্ফান। যা বেশ ক্ষতি করেছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে।
সামাজিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ফুটস্টেপসের সঙ্গে মিলে সাতক্ষীরার গৃহহারা মানুষদের ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ আগেই নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীমরা। পরে তারা খবর পেয়েছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মানুষজন খাবার পানির সংকটে ভুগছেন।
এ খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মিলে ঐ অঞ্চলের মানুষজনের জন্য সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা করেছেন ক্রিকেটাররা। যেখান থেকে দিনে প্রায় ১ হাজার মানুষ খাবার পানি সংগ্রহ করে থাকেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ খবর জানিয়েছেন তামিম। তিনি লিখেছেন, ‘করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগের মধ্যেই কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আঘাত করেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পান (আম্ফান)। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অনেক ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ে।’
‘আমরা খবর পেয়েছিলাম, সাতক্ষীরার শ্যামনগরে অনেক মানুষ খাবার পানির তীব্র সঙ্কটে ভুগছে। এরপর জাতীয় ক্রিকেট দলের পক্ষ থেকে ওই অঞ্চলের মানুষের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন ১ হাজার মানুষকে খাবার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে এখন।’
‘এই উদ্যোগে আমরা পাশে পেয়েছি স্থানীয় কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও দারুণ উদ্যমী কিছু মানুষকে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং অসহায় মানুষের দুয়ারে খাবার পানি পৌঁছে দিচ্ছেন। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
‘শ্যামনগরের মানুষের দুর্দশার কথা বলার পর আমাদের দলের সবাই খুব দ্রুত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছে। সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
Discussion about this post