নিউজ ডেস্ক
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেতারা গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বলেছেন, কিছু ফার্মেসি করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ৭৫০ টাকা দামের আইভেরা ৬ মিলিগ্রাম ৬ প্যাকেট বিক্রি করছে ২ হাজার ৪০০ টাকা।
৫০ টাকার স্ক্যাবো ৬ মিলিগ্রাম প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০০ টাকা, ২৫ টাকা দামের জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০ টাকা, ২০ টাকা দামের সিভিট ২৫০ মিলিগ্রাম প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০ টাকা।
৩৬০ টাকা দামের রিকোনিল ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকা, ৪৮০ টাকা দামের মোনাস ১০ মিলিগ্রাম প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছে ১ হাজার ৫০ টাকা, ৩১৫ টাকা দামের অ্যাজিথ্রোসিন ৫০০ মিলিগ্রাম প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকায়।
শনিবার (৬ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগের পাশাপাশি দেশের অন্যতম বড় পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারী গলিতে নিয়মিত অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রামে করোনা মহামারীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেসরকারি ক্লিনিক মালিকরা যেভাবে জনগণকে সেবা না দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তেমনি ফার্মেসি মালিকেরাও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে ডাকাতি শুরু করে দিয়েছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে বিক্রি করছে করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েকটি ওষুধ। চট্টগ্রামের অলিগলির ফার্মেসিগুলোতে এ সব ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে দাম বেশি দিলে আবার বের করে দিচ্ছে। ফার্মেসিগুলোর এই অতিরিক্তি দামে ওষুধ বিক্রি ঠেকাতে চট্টগ্রামের ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারী গলিতে র্যাব, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়মিত অভিযানের বিকল্প নেই। চট্টগ্রামের ফার্মেসিগুলোতে করোনা সংশ্লিষ্ট ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও জীবন রক্ষাকারী ওষুধের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে দেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, ক্যাব মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস।
ক্যাব নেতারা বলেন, ওষুধের কৃত্রিম সংকট ও দাম বেশি নেওয়ার ঘটনায় ওষুধ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ হাত থাকায় এ অপরাধীরা করোনা শুরু হবার সময় স্যানিটাইজার, ডেটল, স্যাভলন বাজার থেকে গায়েব করে ফেলে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা বা তাদের ডেকে বলার প্রয়োজনটুকু অনুভব করেনি। ফলে তারা এখন আরও বেপরোয়া হয়ে কৃত্রিম সংকট করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা শুধু দুঃখজনক নয়, অমানবিকও বটে।
Discussion about this post