আন্তর্জাতিক ডেস্ক
জার্মানির ২৫ টি শহরে শনিবার ৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রে চলমান বর্ণবাদ ও পুলিশি সহিংসতার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সংহতি ও জার্মানিতে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
বার্লিন, হামবূর্গ, হ্যানোভার, ব্রিমেন, ডর্টমুন্ড, ডুসেলডর্ফ, ফ্রাঙ্কফূর্ট,মিউনিক,স্টুটগার্ড, মানহাইম, কার্লসরুয়ে, লাইপজিগ, গোয়েটিংগেন, বিলেফেল্ড, ওসানাব্রুক, ম্যাগডেবূর্গ, রোস্টক, ড্রেসডেন প্রভৃতি শহরে শনিবার সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
শনিবার বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের উদ্যোক্তরা জনিয়েছে, কতৃপক্ষের কাছে অনুমতি পত্রে সমাবেশে বিক্ষোভকারীদের যে আনুমানিক সংখ্যা জানিয়েছিলেন, সবত্র তার চেয়ে অনেক অনেক গুন বেশী বিক্ষোকারী হাজির হয়।
বার্লিনে আলেকজান্ডার স্কোয়ারে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার, হামবূর্গে ৯ হাজার, হ্যানোভার শহরে ৮ হাজার পাঁচশ, ফ্রাঙ্কফূর্টে ৮ হাজার মানুষ এইসব বিক্ষোভগুলিতে জমায়েত হয়। অনেক জমায়েতই যুক্তরাষ্টের মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডকে যেভাবে হাঁটু দিয়ে চেপে হত্যা করা হয়, তার প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীরা হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন।
বিভিন্ন শহরে বক্তরা যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশী সহিংসতা বন্ধ ও আফ্রো আমেরিকানদের বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধের দাবী জানান। তারা বলেন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয়, তবে আমরা দেশটির বর্ণবাদী ব্যাবস্হা ও আচারনের বিরুদ্ধে।অনেক বক্তা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বিশ্ব বর্ণবাদের শিরোমণি বলে উল্লেখ করেন। জার্মানিতে বর্ণবাদ ও দক্ষিনপন্থী দলগুলির সমালচনা করেন, দক্ষিনপন্থী দলগুলিই জার্মানিতে বর্ণবাদের আরো প্রসার ঘটাচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।
জার্মানির সর্বত্র শান্তিপুর্ণ ভাবে বিক্ষোভ সমাবশ হলেও, বার্লিনে বিক্ষোভ শেষে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকরীদের ছোট একটি অংশের সংঘর্ষ হয়। বার্লিনে শনিবারের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে ৮০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং পুলিশের হেলিকপ্টার আকাশে চক্কর দেয়।
ব্ল্যাক লাইভ মেটার মুভমেন্ট নাম দিয়ে লন্ডন, প্যারিস সহ ইউরোপের অনেক শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছ।
Discussion about this post