নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনলাইন ক্লাস বর্জনের ঘোষণার পর এবার ১২ শর্তে ক্লাসে ফিরতে রাজি হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এসব শর্ত পরিপূর্ণভাবে মেনে নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত আকারে নির্দেশনা জারি করা হলে ক্লাসে অংশ নেবেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৬ জুন) অনলাইন ক্লাস বর্জনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী শর্মিলা সিদ্দিকা মিলা, মইনুল ইসলাম রাশু, শাহরিয়ার আবেদীন, মিনহাজুল আবেদীন, সৈয়দ মাহিম রিকথীসহ ১৩ জন শিক্ষার্থী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইন্টারনেট সংযুক্তিতে শিক্ষা ভর্তুকি, ডিভাইস ক্রয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা (যাদের মোবাইল বা ল্যাপটপ নেই), সকলের জন্য ক্লাস-উপস্থিতির পূর্ণ নম্বর রাখা, রেকর্ড করা ভিডিও বা প্রয়োজনীয় কোর্স উপকরণ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছে দেয়া, অনলাইনে কোনো ধরণের পরীক্ষা না নেয়া, অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হলে সেমিস্টার ফাইনাল পর্যন্ত সময়সীমা রাখা, বিশ্ববিদ্যালয় খুললে পর্যাপ্ত সময় দিয়ে টার্মটেস্ট নেয়া, শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন সাপেক্ষে রিভিউ ক্লাসে দেড়মাস বা ততধিক এবং ল্যাব, প্রজেক্ট ও থিসিসে কমপক্ষে আড়াই মাস সময় নেয়ার পর পরীক্ষা নেয়া, সেমিস্টার ফাইনালের পূর্বে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ ‘পিএল’ এর ব্যবস্থা রাখা, ২০ জুনের মধ্যে চলতি সেমিস্টার শেষ করার দাবি প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুযায়ী সময়সীমা বাড়ানো ও অনলাইন ক্লাস সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যে নেয়া।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে সেশনজটের শঙ্কায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত ৩১ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থায় শিক্ষার গুণগতমান মান নিশ্চিত না হওয়া ও ডিজিটাল ডিভাইস অপর্যাপ্ততায় গত ৭ এপ্রিল সম্মিলিতভাবে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সকল ব্যাচ।
Discussion about this post