অনলাইন ডেস্ক
সীমান্তে শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তিতে রাজি হয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ চীন ও ভারত। লাদাখে দেশ দুটির মধ্যে সামরিক পর্যায়ে আলোচনার একদিন পরে এ কথা জানানো হয়েছে। খবর- আনাদলু।
রোববার(৭জুন) ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশই বিরোধ নিষ্পত্তিতে রাজি হয়েছে।
এদিকে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে চলতি বছরে কূটনৈতিক সম্পর্ক ৭০ বছরে পদাপর্ণ করছে। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বিকাশে ভূমিকা রাখবে।
পরিস্থিতি সমাধানে দুই দেশ সামরিক ও কূটনৈতিক কাজগুলো চালিয়ে যাবে বলে এতে যোগ করা হয়।
এর আগে শনিবার দুই দেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিম লাদাখের সেনা ছাউনি চুশুল-মলডোতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪ কোরের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরিন্দর সিং।
অপরদিকে চীনের পক্ষে দক্ষিণ জিনজিয়ান অঞ্চলের সেনা কমান্ডার লিউ লিন অংশ নেন। তিনি চীনা অংশের মলডোতে লাইন অব অ্যাকচুয়া কন্টোলে (এলএসি) দায়িত্ব পালন করছেন।
মে থেকে শুরু হওয়া বিরোধে এটি সর্বপ্রথম দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সামরিক বৈঠক।
গত এক মাস ধরে চলা উত্তেজনায় পূর্ব লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত দু’পক্ষের প্রায় পাঁচ হাজারের কাছাকাছি সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে নিয়মিতভাবে বিমানও টহল দিয়েছে।
সীমান্ত উত্তেজনার পরিস্থিতিতে বৈঠকের ঠিক আগে চীনের সেনাবাহিনীতে শু ছিলিংকে নতুন জেনারেল হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। সামরিক বাহিনীর কমান্ডার পদে থাকা এ কর্মকর্তা লাদাখ সীমান্ত সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কৌশলগত কারণেই ওই নিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাব মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ২০১৭ সালে ডোকালামের পর ভারত-চীনের কোনো সীমান্তে আর এত বড় সেনা মোতায়েন হয়নি। মে মাসের শেষের দিকে লাদাখে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর হঠাৎ চীনা সেনাবাহিনীর তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর থেকেই নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্ক উত্তপ্ত হতে থাকে।
সম্প্রতি দেশ দুটির মধ্যে দুই দফায় হাতাহাতি ও সংঘাতের পর গালওয়ান উপত্যকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিপুল সেনা মোতায়েন করে চীন। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতও সেনা মোতায়েন করে যথাযথ জবাব দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
Discussion about this post