ক্রীড়া ডেস্ক
এই গত মাসেও নিজের ফেসবুক লাইভে তামিম ইকবাল অকপটে মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে বলেছিলেন, ‘আজীবন আপনিই আমার অধিনায়ক।’ যখন প্রসঙ্গ উঠেছিল জাতীয় দলের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার, তখন এমনটা বলেছিলেন তামিম।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাফল্যমন্ডিত অধ্যায়ে দেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে গড়েছেন ৫০ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড। তিনি এখন আর অধিনায়ক নন। খেলবেন একজন বোলার হিসেবে।
কিন্তু গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে বোলার মাশরাফির পারফরম্যান্স খুব একটা আশা জাগানিয়া নয়। নিজের সেরা ছন্দ তো নয়ই, বরং বলা চলে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সময়ই ছিল বিশ্বকাপ, খুব একটা ব্যতিক্রম ছিল না জিম্বাবুয়ে সিরিজটাও। তবে তিন ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে জানান দিয়েছেন এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি।
ফলে নতুন অধিনায়ক তামিমের জন্য এখন কঠিন বিষয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছে মাশরাফির ব্যাপারে যেকোন সিদ্ধান্ত নেয়ার। কেননা এক-দুই ম্যাচ খারাপ খেললেই হয়তোবা উঠতে পারে মাশরাফিকে বাদ দেয়ার দাবি। কিংবা ফিটনেসের দোহাই দিয়ে হয়তো তাকে দলেই না রাখার কথা বলতে পারেন কেউ কেউ।
এমতাবস্থায় তামিমের নিজের ভাবনা কী? বোলার মাশরাফির ব্যাপারে তামিম নিজে কী ভাবছেন? নিজের দলে বোলার মাশরাফিকে কীভাবে দেখতে চান অধিনায়ক তামিম? প্রশ্নটা করার জন্য সময়টা আদর্শ না হলেও, আগে-পরে ঠিকই এর মুখোমুখি হতে হবে তামিমকে। সেটি জানেন তামিম নিজেও।
তাই তো শনিবার (৬জুন) রাতে ক্রিকফ্রেঞ্জির সঙ্গে ফেসবুক লাইভে এমন প্রশ্নের জবাবে বেশ গোছালো উত্তরই দিয়েছেন তিনি। মাশরাফিকে দলে নেয়ার বিষয়টিও ছেড়ে দিয়েছেন সময়ের হাতে। তবে যেকোন অধিনায়কই যে মাশরাফিকে নিতে চাইবে, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘আমি একজন নতুন অধিনায়ক। আমার জন্য প্রথম নির্বাচনী সভায় অথবা প্রথম দল নির্বাচনে আমি যদি বলি আমার এই লাগবে সেই লাগবে, আমি ওকে চাই, তাকে চাই, এটা কেমন হবে? আমার এই শ্রদ্ধা অর্জন করে নিতে হবে; নির্বাচক, বোর্ড সবার কাছ থেকে। এই শ্রদ্ধাটা পারফরম্যান্সের মাধ্যমে অর্জন করতে পারি।’
তামিম আরও যোগ করেন, ‘মাশরাফি ভাই একজন কিংবদন্তি। বাংলাদেশে এমন কেউ নাই যে তাকে নেবে না। তবে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হবে। সঠিক সময় আসলে দেখা যাবে। এটা বলতে পারি, এমন কেউ নাই যে তাকে নেবে না।’
Discussion about this post