অনলাইন ডেস্ক
কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার স্পুফিং করে কৌশলে গ্রাহকের তথ্য জেনে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা কার্ডের সব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্র। তবে নাম্বার এক হলেও প্রতারকদের কলের ক্ষেত্রে সাধারণত নাম্বারের আগে ‘প্লাস চিহ্ন’ থাকে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যারের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির কারণে মানুষের বাইরে যাওয়া এড়াতে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বেড়েছে। আর এ সুযোগটি কাজে লাগিয়েছে প্রতারক চক্র। বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে এ চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা প্রত্যেকেই প্রাথমিকভাবে এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’
আটককৃতদের কৌশল বিষয়ে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, `নাম্বার স্পুফিং বা ক্লোন করায় গ্রাহকরা হুবহু সংশ্লিষ্ট নাম্বার থেকেই ফোন পাবেন। ফোন করে অ্যাকাউন্ট বাতিল, স্থগিত বা সিস্টেম আপগ্রডের কথা বলে তথ্য, পিন বা ভেরিফিকেশন কোড জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু প্রতারকদের স্পুফিং নাম্বারের আগে সাধারণত ‘প্লাস চিহ্ন’ থাকে। উদাহরণস্বরূপ কোনো কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার যদি ‘১২২১’ হয়, তাহলে প্রতারকদের দেওয়া ফোন কলে নাম্বার হবে ‘+১২২১’।’
গ্রাহকদের নাম্বার হাতিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে এ চক্রের সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা জড়িত কি-না খতিয়ে দেখা হবে জানান তিনি।
এর আগে শনিবার (৬ জুন) রাজধানী এবং ফরিদপুরের ভাঙা এলাকা থেকে র্যাব-২ এবং র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে এ চক্রের ১৩ সদস্যকে আটক করা হয়।
Discussion about this post