বয়স চল্লিশ পার হলেই জীবনটা আর আগের মতো থাকে না। শরীরে তখন স্থান করে নিতে থাকে বিভিন্ন রোগব্যাধি।
উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বা ব্লাড সুগারের মতো সমস্যা আঁকড়ে ধরলে অবাক হওয়ার কিছু থাকে না। এটা ঠিক যে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে এসব সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্ত থাকা যায়। কিন্তু শরীরে যদি বাত থাকে তাহলে হাঁটাহাঁটিটা আর সহজ বিষয় থাকে না। বাত থাকলেও সমস্যা নেই, আবার সময়ের অভাব থাকলেও সমস্যা নেই। সব সমস্যার মুক্তি থেকে দরকার শুধু ইচ্ছাশক্তি। আর এ জন্য বাড়িতেই যেকোনো সময় ২০-২৫ মিনিটের ব্যায়াম যথেষ্ট। আগের দিন আমরা শুধু প্ল্যাংক অনুশীলন দেখেছি। আজ অন্য ব্যায়াম বিষয়ে জানব।
হাতে ভর রেখে স্কোয়াট
হাঁটু হলো হিঞ্জ জয়েন্ট।অনেকটা কপাটের মতো। একে ভালো রাখতে স্কোয়াটের কোনো জুড়ি নেই। একটি চেয়ার বা টেবিলে হাতের ভার রেখে হাঁটুটা যতটা ভাঁজ করলে ব্যথা লাগে না ততটা ভাঁজ করে স্কোয়াট করতে হবে। সম্ভব হলে ৯০ ডিগ্রি, অর্থাৎ যতক্ষণ না হাঁটু ও কোমর সমান্তরালে আসে ততক্ষণ স্কোয়াট করলে ভালো। এ অনুশীলনের সময় পেছনে একটি টুল বা একটি বাক্স ধরনের কিছু রেখে নিলে অনুশীলনে সুবিধা হবে। স্কোয়াট করার সময় যখন টুলে নিতম্ব স্পর্শ করবে তখন উঠে দাঁড়ালেই হবে। এভাবে ১০ বার করুন।
ওয়াল পুশ আপ
কাঁধের সমান উচ্চতা এবং কাঁধের প্রস্থের সমান দূরত্বে দুই হাত দেয়ালে রেখে দেয়াল থেকে একটু সরে দাঁড়াতে হবে। এবার বুক দেয়ালের কাছে আনার চেষ্টা করতে হবে, আবার ফিরে যেতে হবে আগের অবস্থানে। এভাবে ১০ থেকে ১২ বার করতে হবে। এতে বুক আর কাঁধের পেশির জোর বাড়ে। কাঁধের বল অ্যান্ড সকেট জয়েন্টও ভালো থাকে।
শূন্যে পাঞ্চ অ্যান্ড কিক
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুরুতেই প্রথম আড়াআড়ি চারটি ঘুষি ছুড়ুন। তবে এক হাতে নয়, দুই হাতে। একইভাবে পর পর চারটি লাথি ছুড়ুন। হাত ও পা ছোড়ার সময় কাছাকাছি কোনো জিনিস না থাকার বিষয়টি আগেই নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হিতে বিপরীত
হতে পারে। আঘাত পেয়ে ব্যায়ামের ইচ্ছাটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এভাবে কয়েকবার ঘুষি
ও লাথি ছুড়ুন। সব মিলিয়ে ৪৫ সেকেন্ড থেকে এক মিনিট বিরামহীনভাবে এটি করতে হবে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার করতে হবে।
Discussion about this post