প্রথমটায় শুনে মনে হবে, ব্যায়াম করে মুখে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখা কি আদৌ সম্ভব, না নেহাতই কষ্টকল্পনা? কিন্তু আমরা যদি আপনাকে পুরো বিষয়টি প্রাঞ্জল করে বুঝিয়ে দিই, তা হলে মেনে নিতে অসুবিধে হবে না যে সত্যিই কিছু কিছু ব্যায়ামের সাহায্যে মুখের ত্বক বেশিদিন টানটান রাখা সম্ভব। ঠিক যেভাবে মুখের মাসাজ জরুরি, সেভাবেই দিনে অন্তত 20 মিনিট বরাদ্দ রাখুন এক্সারসাইজ়ের জন্য। জানতে চান, কীভাবে কাজ করে মুখের ব্যায়াম? আমাদের ত্বকের তিনটি স্তর আছে – একেবারে নিচের স্তরটি হল হাইপোডার্মিস, মাঝের স্তরের নাম ডার্মিস আর বাইরে ত্বকের যে অংশটুকু থাকে তাকে বলে এপিডার্মিস। আপনি যদি সঠিকভাবে ব্যায়ামগুলি করেন, তা হলে প্রতিটি স্তরেই রক্ত চলাচলের হার বাড়বে। ফলে সেগুলি বেশি পুষ্টি আর অক্সিজেন পাবে। বাড়বে কোলাজেন তৈরির হার। স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে উজ্জ্বলতা। তাই মেগান মার্কেল থেকে আরম্ভ করে ঐশ্বর্যা রাই – সবাই আস্থা রাখেন এই ধরনের ব্যায়ামের উপর। যদি ঠিকমতো অভ্যেস করেন, তা হলে দুই থেকে চার মাসের মধ্যেই ফল দেখতে পাবেন হাতে-নাতে। স্রেফ মুখের ত্বক নিয়ে ভাবলেই অবশ্য চলবে না, সেইসঙ্গে গলাটাও টানটান রাখতে হবে – আমাদের ঘাড় আর গলায় কিন্তু বয়সের ছাপ পড়ে খুব তাড়াতাড়ি।
ব্যায়াম নং 1
আয়নার সামনে দাঁড়ান। গাল ফুলিয়ে মুখের মধ্যে বাতাস ভরে নিন। এবার এক গাল থেকে বাতাস অন্য গালের দিকে ঠেলে দিন। এইভাবে যতক্ষণ দম ধরে রাখতে পারবেন ততক্ষণ চালিয়ে যান। তার পর ধীরে ধীরে দম ছাড়ুন। আট থেকে দশবার রিপিট করুন, তাড়াহুড়ো করবেন না।
ব্যায়াম নং 2
আপনি আশ্চর্য হয়ে গেলে কী করেন? ভুরু কপালের দিকে ঠেলে তুলে মুখটা হাঁ করেন তো? ঠিক সেই মুদ্রা অভ্যেস করুন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে। মুখ যতটা সম্ভব বড়ো করে হাঁ করুন, ভুরুটাও ঠেলে তুলে দিন হেয়ারলাইনের দিকে। চোখ বড়ো বড়ো করে রাখুন। যতক্ষণ সম্ভব ধরে রাখতে হবে, তার পর ছেড়ে আবার করুন। আট থেকে দশবার রিপিট করতে হবে।
ব্যায়াম নং 3
ঘাড়টা পিছনের দিকে হেলিয়ে দিন যতটা সম্ভব টান টান করে। তার পর হাতের আঙুল দিয়ে গলার ত্বকে মালিশ করুন, স্ট্রোক হবে নিচের দিকে। সেই সঙ্গে জিভটা ঠেলে তুলে দিন মুখগহ্বরের উপরের দিকে। এইভাবে যতক্ষণ পারেন স্ট্রেচ করুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। এইভাবে দশবার রিপিট করতে হবে।
ব্যায়াম নং 4
লম্বা শ্বাস নিন। ঘাড় বা মাথা হেলাবেন না, স্রেফ চোখ দিয়ে যতটা সম্ভব উপরের দিকে তাকানোর চেষ্টা করুন। মনে হবে ভুরুর ভিতরের দিকটা দেখতে পাচ্ছেন। চোখে টান টের পাবেন, এর ফলে আপনার চোখের নিচের ব্যাগ ভ্যানিশ হয়ে যাবে ধীরে ধীরে। অন্তত আট থেকে দশবার অভ্যেস করুন।
ব্যায়াম নং 5
ভুরুটা সামান্য কুঁচকে নিন, কিন্তু কপালে যেন ভাঁজ না পড়ে। তার পর হাতের আঙুল দিয়ে কপালের ত্বক ঠেলে পাঠান আপনার হেয়ারলাইনের দিকে। এর ফলে মিলিয়ে যাবে কপালের ভাঁজ। আট থেকে দশবার অভ্যেস করুন।
Discussion about this post