অনলাইন ডেস্ক
আগামী মাসের মাঝের দিকে করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এর সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন বহুজাতিক জায়ান্ট কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসন।
শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা সৃষ্টিকারী প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন তৈরিতে বিশ্বের শত শত কোম্পানি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন এই কোম্পানি বলছে, তারা পরিকল্পিত সময়ের দুই মাস আগেই মানবদেহে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালাচ্ছে।
মানবদেহে পরীক্ষা চালানোর অপেক্ষায় থাকলেও ২০২১ সালের আগেই ইতোমধ্যে ভ্যাকসিনটির একশ কোটি ডোজ উৎপাদনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে কোম্পানিটি।
অতীতে বিভিন্ন সময়ে এই কোম্পানির পণ্যসামগ্রী ব্যবহারে শিশু ও নারীদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার শত শত অভিযোগও উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যের আদালতে এই কোম্পানিটিকে কোটি কোটি ডলার জরিমানাও করা হয়।
গত বছরের শেষের দিকে চীন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের এখনও কোনও চিকিৎসা কিংবা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি। ৪ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়া এই ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৭৩ লাখ।
জনসন অ্যান্ড জনসন বলছে, আগামী মাসের শেষের দুই সপ্তাহে তারা ১৮ থেকে ৫৫ এবং ৬৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সী এক হাজার ৪৫ জন স্বেচ্ছাসেবীর দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করবে। পরীক্ষামূলক এ প্রয়োগ হবে যুক্তরাষ্ট্র এবং বেলজিয়ামে।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে মার্কিন কোম্পানিগুলোর মধ্যে এগিয়ে রয়েছে মডার্না। মার্কিন এই কোম্পানি তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মধ্য পর্যায়ের পরীক্ষামূলক নিয়ে গেছে। এই স্তরে ৬০০ রোগীর দেহে তারা ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করবে। চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষা আগামী জুলাইয়ে শুরু হবে বলে জানিয়েছে মডার্না।
এছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা, স্যানোফি, ফাইজার এবং গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনগুলোও বিভিন্ন ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে অন্তত ১০টি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চূড়ান্ত একটি ভ্যাকসিন পেতে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
সূত্র: রয়টার্স।
Discussion about this post