নিউজ ডেস্ক
দেশীয় বিনিয়োগ, কৃষি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট প্রস্তাবনায়। কর ও শুল্ক কাঠামোয় পরিবর্তন এনে এসব সুবিধা দেয়া হবে। এর ফলে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এরমধ্যে রয়েছে পিপিই, মাস্ক, ফেস শিল্ডসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী, করোনা টেস্টের কিট ও সংশ্লিষ্ট রাসায়নিক উদাপান, আইসিউ, সিসিইউ, অক্সিজেনসহ জরুর সেবায় ব্যবহৃত বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রী, স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত কৃষি যন্ত্রপাতি, স্থানীয় পর্যায়ে ভেন্টিলেটর, কমপ্রেসর উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন কাঁচামাল।
এছাড়া স্বর্ণ আমদানিতে ১৫ শতাংশ মূসক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের কারণে দাম কমে আসবে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত ক্ষুদ্র শিল্পের কাঁচামালে অগ্রিম কর কমতে পারে। ফলে ক্ষুদ্র শিল্পজাত পণ্যে দাম কমতে পারে। শুল্ক ছাড়ের ফলে কমতে পারে পাদুকা, পোল্ট্রি, ডেইরি ও মৎস্য শিল্প এবং অগ্নিনির্বাপণে ব্যবহৃত উপকরণের দাম।
বাজেটে যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
সিগারেট, জর্দা, আমদানিকৃত পেঁয়াজ, আমদানিকৃত মধু, আমদানিকৃত স্মার্ট মোবাইল ফোন, প্যাকেজাত খাবার, শিল্পে ব্যবহৃত লবণ, আমদানিকৃত ড্রেজার, আমদানিকৃত সিআর কয়েল, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ফি, মোবাইলের কল চার্জ, সিরামিকের সিঙ্ক ও বেসিনের দাম বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেট পেশের সময় সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী। তবে শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ অধিবেশনে যোগ দেননি। এদিকে সূচি অনুযায়ী অধিবেশনে যোগ দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
এর আগে দুপুরে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই বাজেটের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
Discussion about this post