নিজস্ব প্রতিবেদক
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
আপনি মহান সংসদে জাতীয়করণ ঘোষণা দিয়ে মুজিববর্ষকে আলোকিত করুন। বেসরকারি শিক্ষকরা আপনার দিকে এতিমের মতো চেয়ে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি শিক্ষক সমাজের অভিভাবক।আপনি ছাড়া শিক্ষকদের দঃখ-কষ্ট বুঝতে পারে এমন কেউ নেই।শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি সমূহ পূরুণ না করে সরকার বিরোধী একটি অশুভ চক্র সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।আর নিজের অবৈধ নেতৃত্ব ধরে রেখে এমপি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর।শিক্ষক সমাজের রক্ত চুষে নিজে হচ্ছে কালো টাকার মালিক।একদিন হয়তো শিক্ষক সমাজের রক্ত চুষে জমানো কালো টাকা দিয়ে এমপিও হয়ে যাবে।যেমন একজন এখন কুয়েতে আদম ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে।এতে দল ও দেশের সুনাম বিনষ্ট হচ্ছে।আগামীদিনে এমনটি যেন না হয় তা ভাবনার সময় এসেছে।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত।২০১৯-২০অর্থ বাজেটেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য কোন কিছু বরাদ্দ ছিল না।বেতন-বৈষম্যের শিকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০২০-২১অর্থ বাজেটেও কোন বরাদ্দ নেই।এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে এত অবহেলার কারণ কি তা শিক্ষক সমাজকে ভাবতে হবে।
এখন করোনার প্রভাব আছে তা ঠিক কিন্তু বিগত বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষক বঞ্চনার কি কারণ ছিল?শিক্ষক সমাজকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করলে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য আকাশ ছোঁয়া।এমপিওভুক্তশিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য আপনার অবগতির জন্য নিম্নে তুলে ধরা হলো:
০১|এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ২৫%ঈদ ঈদবোনাস দীর্ঘ ১৬বছরেও পরিবর্তন হলোনা(২২|০১|২০০৪থেকে)।
০২|১০০০টাকা বাড়ি ভাড়া ও ৫০০টাকা চিকিৎসাা ভাতা দীর্ঘ ১১বছরেও পরিবর্তন হলোনা।
০৩|বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ সারাজীবনে একটি মাত্র টাইমস্কেল পেত সেটাও বন্ধ রাখা হলো এবং তার পরিবর্তে দুটি উচ্চতর গ্রেড দেয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৫বছরেও কার্যকর হলোনা।অতি সম্প্রতি ১০বছরে একটি কার্যকর করার আদেশ হয়েছে কিন্তু আরেকটি কবে হবে আল্লাহ ভালো জানেন।
০৪|অতিরিক্ত ৪%কর্তন এখনো বন্ধ হলোনা।বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডে ১০%কর্তন করার পর যে সামান্য বেতন থাকে তা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যাপন অতি কষ্টকর হয়ে যায়।
০৫|এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের শিক্ষা সহায়ক কোন ভাতা নেই।
০৬|বদলি প্রথা চালু নেই
০৭|অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিও নেই।
০৮|এখনো প্রায় ৫হাজার নন এমপিও` শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে প্রায় ১লাখ শিক্ষক-কর্মচারী বিনা বেতনে ১০|১২বছর ধরে চাকরি করছে।শুধুমাত্র এমপিও নামক সোনার হরিণের আশায়।
০৯|অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ তাদের অবসরের চেক|টাকা সঠিক সময়ে ও বিধিমোতাবেক পাচ্ছেনা।
১০|করোনার প্রভাবে গৃহবন্দি শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও তাদের ন্যায্য ভাতা ও সম্মানী পাচ্ছেনা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ১৯৭৩সালে প্রথম ৩৭হাজার প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করেছিলেন।বঙ্গবন্ধুর স্বপনস্বপ্ন ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ।কিন্তু আর হলোনা।পরের ইতিহাস ছিল বেদনাদায়ক ও মর্মস্পর্শী এবং কলংক জনক অধ্যায়।আপনি জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।আপনি মানবতার মা।আপনি উদ্যোগ নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।এতে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা বাসতবায়ন হবে।জনগণ এবং রাষ্ট্রেরও আমূল পরিবর্তন হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আয় ফেরত নিয়ে জাতীয়করণ করা হলে সরকারের রাজস্বের তেমন কোন ঘাটতি হবেনা।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার আন্তরিকতাই যথেষ্ট।
তাই বাজেট পুনঃবিবেচনাসহ শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছি।
মো নজরুল ইসলাম রনি
সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও মুখপাত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।
Discussion about this post