অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস মহামারির প্রথম ধাক্কা সামাল দিলেও গত কয়েকদিনে চীনে আবারও বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণের হার। দ্বিতীয় পর্যায়ে অন্তত টানা তিনদিন নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড গড়েছে দেশটি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আরও অন্তত ৪৯ জনের শরীরে পাওয়া গেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
সোমবার(১৫জুন) চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, নতুন শনাক্ত রোগীদের মধ্যে ৩৬ জনই দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ের। একটি পাইকারি খাদ্যপণ্যের বাজার থেকে শহরটিতে করোনা ছড়ানো শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু বেইজিং নয়, সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে এর বাইরেও। করোনার উৎস হুবেই প্রদেশেই গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত তিনজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত কয়েক মাসে চীনে নতুন রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই বহিরাগত। গত ২৪ ঘণ্টায়ও এমন রোগী শনাক্ত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
দেশটিতে বর্তমানে ১৭৭ জন করোনা রোগী রয়েছেন, যা গত মে মাসের শুরু থেকে সর্বোচ্চ। এছাড়া নতুন করে ১৮ জন উপসর্গহীন রোগীও পাওয়া গেছে। যদিও চীন উপসর্গহীনদের করোনা আক্রান্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে না।
এদিকে, নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শিনফাদি ফুড মার্কেটের প্রত্যেক কর্মী এবং আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সবার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েয়ে, তারা ওই এলাকায় অন্তত ৪৬ হাজার নমুনা পরীক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন। ইতোমধ্যেই ১০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়ে গেছে।
জানা গেছে, প্রায় দুই মাস পর কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই বেইজিংয়ে করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যেই সেখানকার দু’টি প্রধান পাইকারি পণ্যের বাজার লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। অন্তত ১১টি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
বাজার দু’টির কাছে মোতায়েন করা হয়েছে শত শত পুলিশ সদস্য। নিকটবর্তী অন্তত নয়টি স্কুল ও কিন্ডারগার্টেন বন্ধের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হযেছে সব ধরনের খেলাধুলা আয়োজন, সিনেমা হল ও জনসমাবেশ।
সূত্র: এএফপি
Discussion about this post