নিউজ ডেস্ক
২০২০-২১ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবার ওপর নতুন আরোপিত ৫ শতাংশ সম্পূরক কর প্রত্যাহারের আবেদন জানাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। গতকাল রোববার(১৪জুন) এ কথা জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি আরও জানিয়েছেন, মোবাইল অপারেটরদের ওপর আরোপিত দুই শতাংশ নূ্ন্যতম কর হার পুনর্বিবেচনার জন্য তিনি বাজেট প্রস্তাবের আগেই চিঠি দিয়েছিলেন।
এ দিকে বাজেট পাসের আগেই কেন বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক আদায় করা হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে মোবাইল অপারেটর বিটিআরসির দেওয়া চিঠি নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এস এম ফরহাদ বলেছেন, সংসদে বাজেট প্রস্তাব পেশের দিন থেকেই আরোপিত সম্পূরক কার্যকরে জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এই কর আদায় করা হচ্ছে। অর্থ বিলের ৮৮ পৃষ্ঠায় কোন দফা কখন থেকে কার্যকর হবে তাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।
মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাস্তবতা বিবেচনায় এ মুহূর্তে মোবাইল টেলিযোগাযোগে গ্রাহক সেবার ওপর নতুন করে ৫ শতাংশ সম্পূরক কর আরোপ করার পক্ষে নয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বরং ইন্টারনেটের দাম কমলে ব্যবহার অনেক বেশি বাড়বে, রাজস্বও বেশি আসবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তিনিও মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবায় সম্পূরক কর বৃদ্ধির বিপক্ষে মত দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বর্ধিত কর প্রস্তাব প্রত্যাহারের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী।
আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার আগেই মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বাড়তি শুল্ক আরোপ করার কারণ জানতে চেয়ে মোবাইল অপারেটরদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বিটিআরসির সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস ডিভিশনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারহান আলম শনিবার(১৩জুন) অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ-সংক্রান্ত ই-মেইল পাঠান। বাজেট পাসের আগেই অপারেটরগুলোর সেবার ওপর বাড়ানো সম্পূরক শুল্ক আদায় শুরুর বিষয়টি বিটিআরসির নজরে এসেছে উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, বিষয়টি প্রমাণিত হলে ‘নজিরবিহীন’ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, বর্তমানের আইন অনুযায়ী, শুধু আয়করের মতো প্রত্যক্ষ কর ছাড়া অন্যান্য সব পরোক্ষ কর জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাবের দিন থেকেই কার্যকর হয়ে যায়। এটা এ জন্য করা হয়েছে, যাতে বাজেটে কর হার পরিবর্তনের প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে সংশ্নিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা যেন কোনো অনৈতিক কৌশল নিতে না পারে। তবে তার মতে, সরকারের উচিত সেবা খাতের ক্ষেত্রে এই আইন সংশোধন করে বাজেট পাসের দিন থেকে পরিবর্তিত কর হার কার্যকর করা।
Discussion about this post