নিউজ ডেস্ক
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চট্টগ্রামের ৯ উপজেলাকে ‘রেডজোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দুটি উপজেলা হলুদ এবং দুটি উপজেলাকে সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এর আগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১০ টি ওয়ার্ডকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
রবিবার (১৪ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, যে সব উপজেলা ১ লাখ জনসংখ্যার অনুপাতে ১০ জন বা তার বেশি করোনা রোগী রয়েছে সেসব উপজেলাকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। যেসব উপজেলায় ১ জনসংখ্যার অনুপাতে করোনা রোগী ৩ জন বা তার বেশি সেসব এলাকাকে রোগ হলুদ জোন এবং যেসব এলাকায় ১ লাখ জনসংখ্যার অনুপাতে করোনা রোগী ৩ জনের কম সেসব্ এলাকাকে সবুজ জোনে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রেডজোন ঘোষিত উপজেলাগুলোর প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলাগুলোকে লকডাউনের আওতায় আনা হবে। সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লকডাউন চলাকালীন সময়ে চিহ্নিত এলাকায় সরকারি আধাসরকারি, স্বায়িত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে।নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে এলাকাবাসীর চাহিদা মোতাবেক ন্যায্য বাজারমূল্যে খাদ্য,ওষুধপত্রসহ দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবন যাপনের উপকরণ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। যারা হতদরিদ্র তাদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।
‘রেডজোনে’ থাকা উপজেলাগুলো হলো- হাটহাজারী উপজেলা, সীতাকুণ্ড উপজেলা, বাঁশখালী উপজেলা, রাউজান উপজেলা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা, আনোয়ারা উপজেলা, বোয়ালখালী উপজেলা, পটিয়া উপজেলা ও চন্দনাইশ উপজেলা। এছাড়াও লোহাগাড়া উপজেলায় এবং সাতকানিয়া উপজেলাকে হলুদ জোন এবং মিরসরাই এবং সন্দ্বীপ উপজেলা রয়েছে সবুজ জোনে।
‘রেডজোন’ এ থাকা উপজেলা গুলোর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে হাটহাজারী উপজেলা।এই উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯০ জন। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে আক্রন্ত হয়েছে আরও ১৫১ জন। চট্টগ্রাম করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছে ১১৭ জন। এবং সুস্থ হয়েছে মোট ৩৭১ জন।
Discussion about this post