ইমাম
মালিক
হতে
বর্ণিত,
তিনি
নাফে
হতে
এবং
তিনি
ইবনে
উমরের
পুত্র
আবদুল্লাহর মুক্ত
দাস
হতে
বর্ণনা
করেছেন,
হযরত
উমর
ইবনুল
খাত্তাব (রা)
তাঁর
খিলাফতের কর্মচারীদের প্রতি
লিখে
পাঠিয়েছিলেন যে,
তোমাদের যাবতীয়
ব্যাপারের মধ্যে
আমার
নিকট
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ
হল
নামায
কায়েম
করা।
যে
লোক
একে
রক্ষা
করে
ও
এর
সংরক্ষণের দায়িত্ব পুরাপুরি পালন
করে,
সে
তার
দ্বীনকে রক্ষা
করে।
আর
যে
লোক
একে
বিনষ্ট
করে,
সে
এই
নামায
ছাড়াও
অন্যান্য সবকিছু
অধিক
নষ্ট
করে।
-মুয়াত্তা মালিক
ব্যাখ্যা উপরে
উদ্ধৃত
বাক্যটি রাসূলে
করীম
(স)
এর
মুখ
নিঃসৃত
বাণী
নয়।
এটা
হযরত
উমর
ফারুকের (রাঃ)
একটি
ফরমান।
এই
ফরমান
তিনি
তাঁহার
সমগ্র
খিলাফতের সরকারী
কর্মচারীদের প্রতি
লিখেছিলেন। তাঁর
ফরমানটি দীর্ঘ
ছিল,
এর
প্রথম
অংশ
এখানে
উদ্ধৃত
করা
হয়েছে।
এটা
হযরত
উমরের
(রাঃ)
বলা
বা
লেখা
হলেও
মুলত
এটা
নবী
করীম
(স)
এরই
বাণী।
হযরত
উমর
ফারুক
(রা)
রাসূলে
করীম
(স)
এর
কথার
উপর
ভিত্তি
করেই
এই
ফরমানটি প্রণয়ন
করেছেন। অতএব
এটাও
হাদীস।
কেননা,
হাদীস
বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সাহাবীর কথাও
হাদীস
নামে
অভিহিত
হয়।
এটা
যে
হযরত
উমরের
(রাঃ)
নিজস্ব
কল্পনাপ্রসুত কোন
কথা
নয়,
তার
প্রমাণ
হচ্ছে-
স্বয়ং
রাসূলে
করীম
(স
এরই
এতদৃসম্পর্কিত একটি
বাণী
উমর
(রাঃ)
হতে
ইকরামা
এই
সুত্রে
হাদীসের মরফু
বা
রাসূলের নিজের
কথা
হিসাবে
বায়হাকী কর্তৃক
উদ্ধৃত
হয়েছে।
তাতে
বলা
হয়েছেঃ
এক
ব্যক্তি রাসুলে
করীম
(স)
এর
সমীপে
প্রশ্ন
করলঃ
হে
রাসূল।
ইসলামে
আল্লাহর নিকট
কোন
কাজটি
সর্বাপেক্ষা বেশী
প্রিয়?
নবী
করীম
(স)
বললেনঃ
সময়
মতো
নামায
পড়া।
যে
লোক
নামায
তরক
করে,
তার
দ্বীন
(ধর্ম)
বলতে
কিছুই
নাই।
আর
নামায
হল
দ্বীন-ইসলামের খুঁটি কিংবা দাঁড়াবার ভিত্তি। যে
লোক
একে
রক্ষা
করে
এবং
এর
পুরাপুরি হেফাযত
করে,
সে
তার
দ্বীনকে রক্ষা
করতে
পারে।
আর
যে
লোক
একে
নষ্ট
করে,
সে
এটা
ছাড়াও
অন্যান্য সব
কিছুকে
অধিক
নষ্ট
করে।
এর
থেকে
নিঃসন্দেহে প্রমাণিত হল
যে,
প্রথমোদ্ধৃত ফরমানটি হযরত
উমরের
(রাঃ)
নিজস্ব
কল্পনাপ্রসূত কোন
কথা
নয়,
বরং
নবী
করীমের
কথাকেই
তাঁর
নিজের
ভাষায়
বর্ণনা
করেছেন। রাসূলের (সাঃ)
বাণীকেই তিনি
সরকারী
পর্যায়ে একটি
অর্ডিন্যান্স হিসাবে
জারী
করেছিলেন মাত্র।
এই
হাদীস
হতে
দ্বীন-ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অকাট্যভাবে প্রমাণিত হয়।
নামায
দ্বীন-ইসলামের ভিত্তি, দ্বীন-ইসলামের খুঁটি।
দ্বীন-ইসলামের সমগ্র বিধানটি এই
নামযের
উপরই
দাঁড়িয়ে আছে।
বস্তুত
যে
জিনিসের যে
ভিত্তি,
সে
ভিত্তি
অক্ষত
না
থাকলে
সেই
জিনিসটিও টিকে
থাকতে
পারে
না,
এটা
খুবই
স্পষ্ট
কথা।
কাজেই
নামায
যদি
দ্বীন-ইসলামের ভিত্তি বা খুঁটি
হয়ে
থাকে,
তবে
নামায
কায়েম
না
করা
হলে
দ্বীন-ইসলাম থাকবে কি
করে?
এই
কারণে
হযরত
উমর
ফারুক
(রা)
তাঁহার
সরকারী
কর্মচারীদের দৃষ্টি
আকর্ষণ
করে
ও
এই
সম্পর্কে তাদেরকে সতর্ক
করে
দিয়ে
বলেছেন
যে,
তোমোদেরকে বহু
দায়িত্বপূর্ণ কাজে
নিযুক্ত করা
হয়েছে,
নামাযও
তোমাদের দায়িত্বের একটি
কাজ।
কিন্তু
সমস্ত
দায়িত্বপূর্ণ কাজের
মধ্যে
নামাযের স্থান
সবকিছুর উপরে।
নামাযের গুরুত্ব সর্বাধিক। এটা
দ্বীনী
কাজের
মধ্যে
সবচাইতে বেশী
গুরুত্বপূর্ণ।
নামায
সংক্রান্ত রাসূলে
করীম
(স)
এর
একটি
বাণীকে
হযরত
উমর
ফারুক
(রা)
সরকারী
ফরমানরূপে জারী
করেছিলেন। এর
থেকে
স্পষ্ট
হয়ে
যায়
যে,
কুরআনের ন্যায়
রাসূলের বাণী
(সুন্নাত)ও
ইসলামের অন্যতম
উৎস।
যে
সব
কাজ
না
হলে
নামায
শুদ্ধ
হয়
না,
যেমন
অযূ,
সঠিক
সময়
এবং
এ
পর্যায়ের অন্যান্য জরুরী
কার্যাবলী-তা
নির্ভুলভাবে জেনে
তা
যথাযথভাবে আদায়
করা।
এর
পর
বলা
হয়েছে,
নামায
যথাযথভাবে আদায়
করার
পূর্ণ
ব্যবস্থা করা,
নামায
কেউ
তরক
না
করে,
কেউ
এর
প্রতি
একবিন্দু অবজ্ঞা
বা
উপেক্ষা প্রদর্শন না
করে
সেদিকে
সজাগ
দৃষ্টি
রাখা।
এই
দুইটি
কাজই
সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বস্তুত
নামায
রীতিমত
ও
নিয়মিত
আদায়
করলে
নামাযীর মধ্যে
যেমন
দায়িত্ব-জ্ঞান,
আল্লাহভীতি ও
আল্লাহর নিকট
জওয়াবদিহির চেতনা
তীব্রভাবে বর্তমান থাকে
তেমনি
সেই
সঙ্গে
তার
যাবতীয়
বৈষয়িক(?)
দায়িত্ব পালনেও
সে
সব
সময়
কর্মতৎপর হয়।
কিন্তু
যদি
কেউ
নামাযই
সঠিকভাবে আদায়
করতে
প্রস্তুত না
হয়,
তবে
সে
যে
তার
অন্যান্য দায়িত্বও পালন
করবে
তার
নিশ্চয়তা কি
থাকতে
পারে।
যারা
মনে
করে
যে,
বেনামাযী লোকও
দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন হয়
ও
দায়িত্ব পালন
করে,
তারা
এক
মারাত্বক বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। তাদের
দৃষ্টি
স্থুল।
প্রকৃতপক্ষে কি
হচ্ছে-
বেনামাযী তার
নিজের
গোটা
পরিবার,
সমাজও
রাষ্ট্রে যে
কি
সাংঘাতিক ক্ষতি
করছে
তা
বুঝার
মতো
কোন
ক্ষমতাই তাদের
নাই।
Discussion about this post