নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা ও সরকারি বরাদ্দ বিবেচনায় নিয়ে ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগ সম্প্রতি ২০২০-২১ অর্থবছরের এ বাজেট প্রণয়ন করেছে। আগামী ২৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইউজিসির ১৫৮তম পূর্ণ কমিশন ও ১২৬তম বাজেট সভায় এ বাজেট অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে।
এ বছর সভায় বাজেট উত্থাপন করবেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি ইউজিসির অর্থ ও হিসাবের বিষয়গুলো দেখভাল করেন। বাজেট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাহিদা নিরিখে ও সরকারের দেয়া বরাদ্দের ভিত্তিতে বাজেট প্রণয়ন করা হয়।
মোট বরাদ্দের বিষয়টি মন্ত্রণালয় থেকে অনেক আগেই জানিয়ে দেয়া হয়। এজন্য কভিডসংশ্লিষ্ট বড় কোনো বরাদ্দ রাখা ওভাবে সম্ভব হয়নি। তবে কভিড পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসোর্স দরকার। এসব বিষয়ে সভায় আলোচনা হবে।
ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে দেশের ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অনু্ন্নয়ন ও উন্নয়ন মিলে আগামী অর্থবছরে বাজেটের আকার দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বরাদ্দ ছিল ৮ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৯ কোটি টাকার অনুন্নয়ন ও ২ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল। এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দ বেড়েছে ৪৬৬ কোটি টাকা।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ইউজিসির নিজস্ব বাজেটও উত্থাপন করা হবে পূর্ণ কমিশন ও বাজেট সভায়। আগামী অর্থবছর ইউজিসির কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৬৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ইউজিসির জন্য বরাদ্দ ছিল ৫০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে ইউজিসির নিজস্ব বাজেট বাড়ছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
এদিকে আগামী অর্থবছরে (২০২০-২১) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাজেটে গবেষণার জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ৬৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৬৪ কোটি টাকা।
বাজেট বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, খাতওয়ারী বরাদ্দের বাইরে ইউজিসির নিজস্ব বাজেটে কিছু সংরক্ষিত তহবিল রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনলাইন ক্লাসসহ কভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে সহায়তা দেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রে কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাব ও এর পরবর্তী কার্যক্রম বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাগুলো বিবেচনায় নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Discussion about this post