নিউজ ডেস্ক
নগরের আগ্রাবাদে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অর্থায়ন ও ব্যবস্থাপনায় গড়ে তোলা ২৫০ শয্যার সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারে রোববার (২১ জুন) রোগী ভর্তি শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) আইসোলেশন সেন্টারে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীদের সঙ্গে পরামর্শমূলক সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, চিকিৎসক ও নার্সসহ প্রশিক্ষিত জনবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে এখানে সেবা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তাদের সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রশিক্ষিত করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নিয়োজিত সম্মুখ যোদ্ধাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাসহ বর্ধিত বেতন ও ঝুঁকিভাতা প্রদান এবং সরকারি প্রণোদনা প্রাপ্তির সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. প্রীতি বড়ুয়া, আইসোলেশন সেন্টারের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র আইসোলেশন সেন্টারটি শুরু হওয়ার আগে এখানে যাদের নিয়োজিত করা হবে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১০ জন চিকিৎসক ও স্টোর কিপারের অনুপস্থিতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, করোনা আক্রান্তদের সেবা প্রদানে তাদের অনীহা, শপথ ভঙ্গ ও পেশার প্রতি অবমাননা এবং রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যহীনতার শামিল। দেশপ্রেম বর্জিত এ অনৈতিক আচরণের জন্য তাদের তাৎক্ষণিকভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বাদ দিয়ে নব উদ্যোগ ও সামর্থ্য নিয়ে চসিক সিটি হল কোভিড আইসোলেশন সেন্টারটি চালু হওয়ার পর নগরে করোনা প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কার্যকর ও ইতিবাচক সুফল বয়ে আনবে।
তিনি আশা করেন করোনা শনাক্তরা যাতে এ আইসোলেশন সেন্টার থেকে উপযুক্ত ও যথাযথ সেবা পান, সে ব্যাপারে দায়িত্বরত কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে মানবিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হয়ে সারাদেশে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন।
মেরিন সিটি হাসপাতালে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা
মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের সঙ্গে মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কথা হয়েছে আমার। উনি আমাকে সম্মতি দিয়েছেন। এখন থেকে কাজ শুরু হয়েছে। বিনামূল্যে এ নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ সবাই চিকিৎসাসেবা পাবেন এ হাসপাতালে। উনার অর্থায়নে সেখানে আইসিইউ, এইচডিইউ, আইসোলেশন শয্যা, সেন্ট্রাল অক্সিজেন, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থাকবে। এস আলম গ্রুপ কোভিড ইউনিটের সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসক, নার্স সবার ব্যয় নির্বাহ করবে। যত মাস কোভিড চিকিৎসা প্রয়োজন হয় আমরা তত মাসের জন্য সম্মতি দিয়েছি।
লকডাউন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর চট্টগ্রাম মহানগরের যেখানে আক্রান্তের হার বেশি সেসব এলাকা লকডাউনের জন্য রেড জোন চিহ্নিত করছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সেসব এলাকা লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসবো। জীবন রক্ষার্থে জনস্বার্থে লকডাউন করা হচ্ছে। যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে লকডাউন করবো না। যাতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
Discussion about this post