দু’জন মুসলমান পরস্পরকে হত্যার জন্য লড়াই করলে হত্যাকারী ও নিহত; উভয়ই জাহান্নামের যোগ্য হয়ে যায় وعن أبي بَكرَةَ نُفيع بنِ الحارثِ الثقفيِّ رضي الله عنه : أَنَّ النَّبيَّ صلى الله عليه وسلم ، قَالَ : (( إِذَا التَقَى المُسلِمَان بسَيْفَيهِمَا فالقَاتِلُ وَالمَقْتُولُ في النّارِ )) قُلتُ : يا رَسُولَ اللهِ ، هذا القَاتِلُ فَمَا بَالُ المقْتُولِ ؟ قَالَ : (( إنَّهُ كَانَ حَريصاً عَلَى قتلِ صَاحِبهِ )) مُتَّفَقٌ عليهِ . أخرجه : البخاري 1/14 ( 31 ) ، ومسلم 8/169 ( 2888 ) ( 14 ) و( 15 ) ৯. হযরত আবু বাকরাহ নুফাই’ ইবনে হারিস সাকাফী (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন দু’জন মুসলমান তরবারী কোষমুক্ত করে পরস্পর লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই জাহান্নামের যোগ্য হয়ে যায়। আমি নিবেদন করলাম; হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর জাহান্নামের হকদার হওয়াটাতো বুঝলাম; কিন্তু নিহত ব্যক্তির জাহান্নামী হওয়ার কারণটা কী? রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কারণটা হলো এই যে, সে তো তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহ চেহারা ও দেহের প্রতি নয়; বরং অন্তর ও কর্মের প্রতি তাকান – وعنْ أبي هريرةَ عبدِ الرحمانِ بنِ صخرٍ رضي الله عنه ، قَالَ : قَالَ رَسُوله صلى الله عليه وسلم : (( إنَّ الله لا ينْظُرُ إِلى أجْسَامِكُمْ ، ولا إِلى صُوَرِكمْ ، وَلَكن ينْظُرُ إلى قُلُوبِكمْ وأعمالكم )) . اخرجه : مسلم 8/11 ( 2564 ) ( 34 ) . ৭. হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ননা করেন, রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন। [মুসলিম: ১১/৮ (২৫৬৪) (৩৪)] ঘরের দান ঘরে ফিরলেও বিশুদ্ধ নিয়তের বদৌলতে সওয়াব বহাল থাকে وعن أبي يَزيدَ مَعْنِ بنِ يَزيدَ بنِ الأخنسِ رضي الله عنه ، وهو وأبوه وَجَدُّه صحابيُّون ، قَالَ : كَانَ أبي يَزيدُ أخْرَجَ دَنَانِيرَ يَتَصَدَّقُ بِهَا ، فَوَضعَهَا عِنْدَ رَجُلٍ في الْمَسْجِدِ ، فَجِئْتُ فأَخذْتُها فَأَتَيْتُهُ بِهَا . فقالَ : واللهِ ، مَا إيَّاكَ أرَدْتُ ، فَخَاصَمْتُهُ إِلى رسولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ، فقَالَ : (( لكَ مَا نَوَيْتَ يَا يزيدُ ، ولَكَ ما أخَذْتَ يَا مَعْنُ )) رواهُ البخاريُّ . ৫. হযরত মা’ন ইবনে ইয়াযিদ ইবনে আখ্নাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম বর্ণনা করেনঃ (মা’ন, তার পিতা, দাদা সবাই সাহাবী ছিলেন) আমার পিতা ইয়াজিদ সদকা করার জন্য (স্বর্ন মুদ্রা) বের করলেন এবং মসজিদে গিয়ে এক ব্যক্তিকে তা দিয়ে দিলেন। আমি লোকটির কাছ থেকে তা ফেরত নিয়ে আমার পিতার কাছে চলে এলাম। আমার পিতা বললেনঃ আল্লাহর কসম! এটা তো আমি তোমাকে দেয়ার মনস্থ করিনি। এরপর আমরা এ বিষয়টাকে রাসূলে আকরাম সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে পেশ করলাম। তিনি বলেনঃ হে ইয়াজিদ! তুমি তোমার নিয়্যাতে সওয়াব পেয়ে গেছো আর হে মা’ন! তুমি যে মাল নিয়েছো, তা তোমারই। -বুখারী |
Discussion about this post