আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চীন জানিয়েছে, সম্ভাব্য করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ডোজ নির্ধারণ এবং কার্যকারিতা ও সুরক্ষা মূল্যায়নের জন্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে। রবিবার চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানায়, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল বায়োলজি সম্ভাব্য কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় ধাপ শুরু করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনের ইমিউনোজেনিসিটি এবং নিরাপত্তার ব্যাপারে অধিকতর মূল্যায়নের জন্য ইউনানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল-২ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের এই ট্রায়ালে মানব শরীরে ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা ও রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হবে।
চীনে মোট পাঁচটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি বিশ্বে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া মোট ভ্যাকসিনের ৪০ শতাংশ।
চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি মে মাসে প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে। ওই সময় ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের একটি হাসপাতালে এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করে।
চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভেক বায়োটেক লিমিটেড জানিয়েছে, নভেম্বরের আগে তাদের সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক শেষ পর্যায় সম্পন্ন হবে।
বিশ্বব্যাপী প্রায় এক ডজন ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। তবে কোনও ভ্যাকসিনই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও পার হয়নি। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই জরুরি অবস্থায় কোনও সরকারি অনুমোদনের আগে সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর জন্য অন্তবর্তীকালীন ছাড়পত্র দেওয়া যেতে পারে।
সিনহুয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা প্রতিষ্ঠান আইএমবিসিএএমএস-এর ভ্যাকসিন গবেষণায় সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতা রয়েছে। কারণ প্রতিষ্ঠানটি এর আগে পোলিওর বিরুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় ভ্যাকসিন এবং নিষ্ক্রিয় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। যা লাখ লাখ চীনা শিশুকে প্রতিবন্ধী হওয়া থেকে রক্ষা করেছে।
Discussion about this post