নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কে অনলাইন শিক্ষায় যুক্ত করতে ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জুন) ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এটুআই আয়োজিত ‘ভার্চুয়াল ক্লাসরুম’ অ্যাপ উদ্বোধনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমসহ সংশ্লিষ্ট অন্যরা যুক্ত হন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১০ শতাংশ শিক্ষার্থী যাদের অনলাইন শিক্ষার সুযোগ (অ্যাকসেস) দিতে পারছি না তাদের এই সুযোগ কীভাবে দেওয়া যাবে, সেক্ষেত্রে লোন দেওয়া যায় কিনা, ইন্টারনেটের খরচ কমানো যায় কিনা, সেটা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়—তা নিয়ে শিক্ষা এবং আইসিটি মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’
অনলাইনে বিজ্ঞান শিক্ষার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইনে বিজ্ঞান শিক্ষা কোনোভাবেই করা যাবে না তা নয়, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভার্চুয়াল ল্যাবরেটরি রয়েছে। এটি অসম্ভব নয়। এতে আমাদের যত রকমের চ্যালেঞ্জ থাকুক আমরা তা মোকাবিলা করবো। আমাদের কোথাও আটকে থাকার সুযোগ নেই। আমাদের আটকে রাখতে পারে আমাদের মাইন্ডসেট। তাই শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাইন্ডসেট বদলাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় কয়েক বছর পর যেতেই হতো, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমাদের আগে করতে হলো। রূপকল্প-২০৪১ ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে আমাদের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নতুন দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনে তাই অনলাইন শিক্ষাই শিক্ষার্থীদের বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শুধু কাজ করবে তা নয় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে হবে। যে অবকাঠামো তৈরি হয়েছে, তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি ইন্টারনেট প্যাকেজের ব্যবস্থা করার জন্যও তিনি প্রস্তাবনা করেন যা উন্নত বিশ্বে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বলে জানান।
এসময় অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল সুবিধা কাজে লাগিয়ে জ্ঞান, শিক্ষা ও উদ্ভাবন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার আহ্বান জানান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একইসঙ্গে শিক্ষাগ্রহণে সবাই যেন ইন্টারনেটে সংযুক্ত হতে পারেন এবং ল্যাপটপ বা স্মার্টফোন কিনতে পারেন এ জন্য সহজ ও সুলভ কিস্তি সুবিধা চালু করতে আইসিটি বিভাগ উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পলক জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৪০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীকে ঘরে বসেই শিক্ষাগ্রহণের সুবিধা করতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ, ওয়ান ড্রিম’ কর্মসূচি এবং সাশ্রয়ী ইন্টারনেট সুবিধা দেয়ার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে তার মন্ত্রণালয়। গ্রাম পর্যায়ে ইন্টারনেট নিয়ে যেতে ইডিসি প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যালয়ে আইসিটি ইন এ্যডুকেশন এবং আইসিটি এড্যুকেশন নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এরমাধ্যমে আমরা সাড়ে ৪ কোটি তরুণকে আইসিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। এরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক।
Discussion about this post