অনলাইন ডেস্ক
করোনা সংক্রমণের এই সময় অনেকেই মহল্লার বাজারের ভিড় এড়াতে সুপারশপ বা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর থেকে খাবার কিনছেন। রান্নার সহজ উপায় হিসেবে নিয়মিত সেখান থেকে রেফ্রিজারেটরে থাকা রেডিমেট খাবারও কিনছেন কেউ কেউ।
অনেকেই ভাবছেন, বাড়িতে গিয়ে একটু তেলের মধ্যে ছেড়ে দিলেই রান্নার ঝামেলা শেষ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের খাবারের প্যাকেট ধরার আগে সতর্ক থাকা উচিত। কারণ এসব প্যাকেট থেকেও শরীরে ঢুকে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস। গবেষণায় দেখা গেছে, মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে বেঁচে থাকতে পারে সার্স এর মতো করোনাভাইরাস।
শুধু ফ্রোজেন ফুড প্যাকেটই নয়, সুপারশপের প্যাকেজজাত মাছ, মাংস সবই রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থাকে। আবার স্থানীয় বাজারে গিয়েও অনেকে বরফে ঢাকা সামুদ্রিক মাছ নেড়েচেড়ে দেখেন। যেহেতু বাজারে আনার আগে মাছ স্যানিটাইজ করা সম্ভব নয় এ কারণে বরফে ঢাকা মাছে হাত না দিয়ে চোখে দেখেই পছন্দ করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, হিমায়িত মাছ কিনলে বাড়িতে এনে হালকা গরম পানিতে প্রথমে পরিষ্কার করা উচিত। তাহলে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস বা এই ধরনের কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার ঠান্ডায় না রাখলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ কারণে এসব খাবার সুপারশপে কিংবা বাড়িতে রেফ্রিজারেটরেই রাখতে হয়। এসব খাবারের প্যাকেট ধরার আগে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলছেন, সুপারশপে যে কোনও জিনিস গ্লাভস পরে ছোঁয়াই ভালো। কোনও জিনিস হাত দিয়ে ধরার পর সেই হাত মুখে যেন না দেওয়া হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলছেন তারা। কেনাকাটার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। পাশাপাশি হাতে একটা স্যানিজাইটারও রাখতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
চীনে দ্বিতীয়বার ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষেত্রে ফ্রোজেন ফুডকেই দায়ী করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, বরফে ঢাকা কাঁচা মাছ-মাংসের বাজারের থেকেই আবার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আমদানি করা মাছ বা প্যাকেজিং থেকে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এখনই এমনটা বলা যাবে না।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
Discussion about this post