অনলাইন ডেস্ক
প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল চলছে। একদিকে বৃষ্টি, অন্যদিকে ভ্যাপসা গরম- আবহাওয়া পরিবর্তনের এই সময় অনেকেই খুশখুশে কাশি কিংবা সর্দিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন এমনিতেই কেউ হাঁচি দিলে বা কাশলে সবাই সন্দেহের চোখে তাকাচ্ছে। এ কারণে সর্দি কাশি হলে আপনি যেমন অস্বস্তিতে পড়ছেন, তেমন নিজের মনেই তৈরি করছে প্রশ্ন, করোনার লক্ষণ না তো?
এই সময়ে সর্দি-কাশি দেখা দিলে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে সুস্থ হতে পারেন। যেমন-
১. নিয়মিত গরম পানি পান করুন। এতে শরীরের বিপাকক্রিয়া ভালো হয়। এতে কাশিও দ্রুত কমে যায়। দিনে তিনবার গরম পানি খান। গলাব্যথা না থাকলেও নিয়মিত গরম পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।
২. আধ চামচ পেঁয়াজের রসে ছোট চামচের ১ চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দু’বার করে খান।
৩. আদা মিশিয়ে দিনে তিনবার চা খান। আদায় থাকা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ যেকোন ধরনের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে।
৪. মধু শুকনো কাশির মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এক চামচ মধুর সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে দিনে একবার করে খান। এতে উপকার পাবেন।
৫. তুলসি পাতার রস করে তাতে মধু আর আদার রস মিশিয়ে দিনে দু’বার করে খান। সর্দি-কাশি নিরাময় হবে।
৬. গরম পানির ভাপ নিলে সর্দি-কাশি নিরাময়ে উপকার পাওয়া যায়।। দিনের যে কোনও সময় এটা করতে পারেন।
৭. যষ্টিমধুও শুকনো কাশি প্রতিরোধ করে। ২ বড় চামচ যষ্টিমধুর শুকনো মূল একটি মগে রেখে তাতে গরম পানি ঢালুন। দিনে দু’বার ভাপ নিন ১০-১৫ মিনিট করে।
৮. ঘিয়ে গোলমরিচের গুঁড়ো ভেজে নিন। তারপর খেয়ে ফেলুন। এতে খুব দ্রুত সেরে যায় সর্দি-কাশি।
৯. এক গ্লাস দুধে আধ চামচ হলুদ মিশিয়ে রোজ খান। এতে আরাম পাবেন।
১০. এক কাপ পানিতে ২-৩ কোয়া রসুন ফেলে গরম করুন। একটু ঠান্ডা করে মধু মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন।
এছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশ করে খান। এতে সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি বাড়বে। সাধারণ কাশি ঘরোয়া জিনিসপত্র, ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করলে ৮-১০ দিনে সেরে যায়। কিন্তু ২-৩ সপ্তাহেও কাশি না সারলে রোগ জটিল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
Discussion about this post