বিশেষ প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সেশনজট ও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও সম্মত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সভায় উপস্থিত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ জানান, অনলাইনে পাঠদানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। উপস্থিতির বাধ্যবাধকতার না রাখার জন্য আচার্য বরাবর অনুরোধ করা হবে। তবে অনলাইনে ক্লাস হলেও পরীক্ষা নেয়া হবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একসঙ্গে ক্লাস নেয়া হবে।
জানতে চাইলে ইউজিসির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান জানান, করোনাভাইরাস কবে শেষ হয়, এটা আমাদের কারো জানা নেই। এ পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসে যেতে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা দরকার; সেটার একটি লিখিত তালিকা ইউজিসিকে প্রস্তাব আকারে পাঠাতে বলা হয়েছে। আমরা সেটা ফাইল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব।
তিনি বলেন, আমরা শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি। বাকিটা তিনিই দেখবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
অনলাইন ক্লাস ও সভা সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সভায় আমরা কীভাবে আমাদের অনলাইন কার্যক্রম পরিচালনা করছি, সেটি ইউজিসিকে অবহিত করেছি। এছাড়া আমাদের আর্থিক সহযোগিতা দরকার সেটিও তাদেরকে জানিয়েছি। আমরা স্বতন্ত্র বাজেট চাই। এটি যেন চিঠির মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
Discussion about this post