এমন খুব কম মানুষই রয়েছে যাদের প্রশ্ন করলে হয়তো উত্তরে বলবে আমি তো পড়াশুনায় খুব মনোযোগী। আমার তো পড়তে বোরিং লাগে না!? কিন্তু বেশীরভাগ সবার অবস্থা মোটামুটি একই রকম। সবার একটা কমন প্রশ্ন থাকে কিভাবে পড়াশুনায় মনোযোগ ধরে রাখতে পারি। কোন উপায় কি আছে যাতে কম পরিশ্রমে বেশীক্ষণ পড়াশুনা করতে পারবো। কমবেশি সব বয়সের শিক্ষার্থীদের এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন।
আজকে আমরা দেখবো বিজ্ঞানসম্মত কিছু উপায় যা তোমাদের সাহায্য করবে লম্বা সময় ধরে পড়াশুনা করতে তাও মনোযোগ সহকারে। তার আগে জেনে নেই কি কি কারণে আমাদের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে।
১। আশেপাশের কোন শব্দ,
২। স্মার্টফোনের টানা নোটিফিকেশন,
৩। অন্য কিছু নিয়ে বেশী ভাবা,
৪। শারীরিক ব্যায়ামের অভাব,
৫। ঘুমের অভাব,
৬। কাজের ঠিক পরিকল্পনা না থাকা… আরও অনেক কিছু
৪৫ মিনিট করে পড়াশুনার সময় ভাগ করে নাওঃ
আমাদের ব্রেইন টানা ৪৫ মিনিট কোন বিষয়ে ফোকাস করতে পারে। তো তুমি যাই করবে এই ৪৫ মিনিটে তাতে তোমার মনোযোগ থাকবে। তুমি টানা বই খাতা নিয়ে বসে না থেকে পড়ার সময়টাকে ৪৫ মিনিট করে ভাগ করে নাও।
ব্রেইনকে রিলাক্স হওয়ার সময় দাওঃ
রিলাক্স হওয়া মানে এই না যে ঘুমানো। ৪৫ মিনিট পড়ার পর উঠে একটু হাঁটাচলা করো বা অন্য কিছু করো। দেখবে পরেরবার যখন আবার পড়তে বসবে তুমি আবার আগের মনোযোগ ধরে পড়তে পারছো।
ঠিকমতো পরিকল্পনা করে নাও কি কি পড়বেঃ
সিলেবাস শেষ করে ফেলবো দুইদিনে, আজকেই সব পড়ে ফেলবো এমন পরিকল্পনা করলে কখনোই তুমি টানা পড়তে পারবে না। সবসময় একটা প্রেশার কাজ করবে। ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে পড়া শুরু করে দাও।
ব্যায়ামঃ
মনোযোগ ধরে রাখার জন্য ব্যায়াম একটি বড় উপায়। দিনে ১০-১৫ মিনিট ব্যায়াম তোমাকে পড়াশুনায় মনোযোগী করতে অনেক বেশী সাহায্য করবে।
সবরকম ইলেকট্রিক ডিভাইস বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকোঃ
কাজ করার সময় বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম যেমনঃ ফেসবুক, ভাইবার, টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ইত্যাদি থেকে দূরে থাকো কে মেসেজ দিলো, কোন নোটিফিকেশন চেক করা বাকি রয়ে গে্লো কিনা তা যদি পড়ার সময় মনে করো তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই তা তোমার মনোযোগ কমিয়ে দিবে। তো চেষ্টা করবেন পড়ার সময় এগুলো যেনো সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে পারো।
Discussion about this post